Mini cooper: কেরলের সিপিএম নেতার ৫০ লাখের মিনি কুপার,পদ কাড়ল পার্টি, শতরূপ পার্ট ২

বাংলার সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের গাড়ি কেনা নিয়ে নানা বিতর্ক হয়েছিল। এবার নয়া বিতর্ক কেরলের এক বাম নেতার বিলাসবহুল গাড়ি কেনা নিয়ে।

কেরলের বাম শ্রমিক সংগঠনের নেতা পিকে অনিল কুমার। ৫০ লাখ টাকা দিয়ে তিনি বিলাসবহুল মিনি কুপার গাড়ি কিনেছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে সেই খবর চাউড় হতেই নড়েচড়ে বসে সিপিএম। ওই নেতাকে আপাতত সংগঠনের সমস্ত রকম পদ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ এভাবে সিপিএম নেতার দামী গাড়িকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। অনিল কুমার আবার  কেরলের পেট্রলিয়াম অ্যান্ড গ্যাস ওয়ার্কারস ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি। প্রশ্ন উঠছে বাম শ্রমিক নেতা, সিটুর এই নেতা গাড়ি কেনার এত টাকা পেলেন কোথায়? 

তবে কেরল সিপিএমের অন্দরে এনিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়। এর্নাকুলাম জেলা কমিটির মিটিংয়ে এনিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। এরপর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে অনিল কুমারকে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ দলের একাংশের মতে, এভাবে বিলাসবহুল গাড়ি কেনার প্রবণতা বাড়তে থাকলে সমস্যা হতে পারে।

সর্বহারার দল। গরিব মেহনতী মানুষের পার্টি। কমিউনিস্টদের জীবন যাপনের মধ্য়ে বিলাসি ব্যাপার এলে অনেকেরই নজর কাড়ে। সেই নিরিখেই কেরলের ওই সিটু নেতার মিনি কুপার গাড়ির কথা শুনে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে কেরল সিপিএম। 

এদিকে সোশ্য়াল মিডিয়ায় সেই মিনি কুপারের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই কার্যত ঝড় ওঠে কেরলে। নানা মন্তব্য করা শুরু করেন অনেকেই। সিপিএমের আদর্শের সঙ্গে ব্য়াপারটি যায় কি না তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এরপরই আর বসে থাকেনি সিপিএম। ওই নেতার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

এদিকে অনিল কুমার নাকি দাবি করেছেন স্ত্রীর টাকায় তিনি এই মিনি কুপার কিনেছেন। তাঁর স্ত্রী আবার ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনেই চাকরি করেন।  কিন্তু নেটপাড়ার প্রশ্ন একজন কমিউনিস্ট যদি মিনি কুপার চেপে ঘুরে বেড়ান তবে সেটা কি আদৌ গ্রহণযোগ্য। নানা মন্তব্য ভেসে আসছে নেটপাড়ায়। আর এতে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে সিপিএমের অন্দরে। সেকারণেই তড়িঘড়ি অনিল কুমারকে আগেই দলের পদ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে এর আগে বাংলার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ ২২ লাখ দামের গাড়ি চাপেন। তবে তার জবাবে শতরূপ জানিয়েছিলেন, তাঁর নামে গাড়ি কেনা হলেও টাকার পুরোটাই দিয়েছেন তাঁর বাব শিবনাথ ঘোষ। দামের সিংঘভাগ খরচই করা হয়েছে চেকের মাধ্যমে। কিছু টাকা নগদে দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের সামনে খরচের রশিদও দেখান সিপিএম নেতা। কোন ব্যাঙ্ক থেকে কত টাকা খরচ করা হয়েছে তাও জানিয়েছিলেন। বাবার ফিক্সড ডিপোটের পরিমাণও জানিয়েছিলেন তিনি।

আর কেরলের অনিল কুমার বললেন আমার স্ত্রী ইন্ডিয়ান অয়েলে কাজ করেন। তিনি গাড়ি কিনেছেন। এটা তাঁর গাড়ি। আমার নয়।