NMML Renamed: জুড়ল ‘প্রধানমন্ত্রী’, বাদ পড়ল নেহরুর নাম, তিন মূর্তি কমপ্লেক্সে বিতর্কের ঝড়

তিন মূর্কি কমপ্লেক্সে প্রায় একবছর আগে প্রধানমন্ত্রীদের নিয়ে সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এখানেই থাকতেন দেশের প্রথ প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। এবার সেই কমব্লেক্স থেকে বাদ পড়ল ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাম। এই আবহে ‘নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি’ এবার থেকে হবে ‘প্রাইম মিনিস্টার্স মিউজিয়াম অ্যান্ড সোসাইটি’। বহস্পতিবার সোসাইটির এক বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠকটির সভাপতিত্ব করেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি আবার এই সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্টও বটে। এই সোসাইটির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খোদ। এছাড়া সোসাইটিতে রয়েছেন অমিত শাহ, জি কিষাণ রেড্ডি, নির্মলা সীতারামন, অনুরাগ ঠাকুরের মতো কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিকে ‘নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি’র নাম বদলের পর কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ শানান। তিনি অভিযোগ করেন, ‘ছোট ছোট বিষয় নিয়েও অনিশ্চয়তায় ভোগেন নরেন্দ্র মোদী।’ টুইট বার্তায় রমেশ লেখেন, ‘আপনার মন ক্ষুদ্র এবং তা প্রতিহিংসায় ভরতি। আপনার নাম মোদী। ৫৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের অন্যতম বুদ্ধিবৃত্তিক ল্যান্ডমার্ক এই এনএমএমএল। এখানে বই ও আর্কাইভের বিশাল সম্ভার রয়েছে। তবে এখন থেকে এটাকে প্রধানমন্ত্রীর জাদুঘর ও সোসাইটি বলা হবে। ভারতীয় জাতি-রাষ্ট্রের স্থপতির নাম ও ইতিহাসকে বিকৃত করতে, অপমান ও ধ্বংস করতে মোদী কী না করতে পারেন!’

প্রসঙ্গত, ১৯২৯-৩০ সালে তৈরি হয়েছিল তিন মূর্তি কমপ্লেক্সটি। এটি ভারতের ‘কমান্ডার-ইন-চিফ’-এর বাসভবন ছিল। ১৯৪৮ সালের অগস্ট মাসে এটা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সরকারি বাসভবন হয়ে যায়। ১৯৬৪ সালের ২৭ মে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত ১৬ বছর এখানে বাস করেছেন জওহরলাল নেহরু। এরপর ভারত সরকার তিন মূর্তি কমপ্লেক্সটি নেহরুর সম্মানে নামাঙ্কিত করে। ১৯৬৬ সালে তৈরি হয় ‘নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি’। ২০১৬ সালে এই ক্যাম্পাসেই দেশের সব প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সংগ্রহশালা তৈরির ঘোষণা করেছিলেন মোদী। গতবছর সেই সংগ্রহশালা উদ্বোধন করেন মোদী। আর এবার ‘নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি’র নাম বদল করে ফেলা হল।

এদিকে এই নামবদলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ‘রংধনুর সব রঙকে সমান ভাবে প্রাধান্য দিতে হবে। তাহলেই এর সৌন্দর্য ফুটে উঠবে।’ এদিকে সোসাইটির তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদ একটা প্রতিষ্ঠান। দেশের সব প্রধানমন্ত্রী, জওহরলাল নেহরু থেকে নরেন্দ্র মোদী… সবাই বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।’