Swiggy delivery agent: এক সপ্তাহ খাইনি, হেঁটেই ফুড ডেলিভারি B-tech সুইগি এজেন্টের, পাশে থাকল নেটপাড়া

আরফা জাভেদ

অনেকেই এখন অনলাইনে খাবার অর্ডার করেন। অর্ডার করলে ঝটাপট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য়ে পছন্দের ডিশ পৌঁছে যায়। তবে অনেক সময় আবার তেমনটা হয় না। খাবার পেতে বেশ অপেক্ষা করতে হয়। 

ফ্ল্যাশ বলে একটি টেক কোম্পানি রয়েছে। তার মার্কেটিং ম্যানেজার হলেন প্রিয়াংশী চান্ডেল। তিনি সুইগিতে একটি আইসক্রিম অর্ডার করেছিলেন। এদিকে বেশ দেরিতেই এসেছিল ওই অর্ডার। রীতিমতো হাঁফাচ্ছিলেন ওই সুইগি বয়। 

কথায় কথায় ওই ডেলিভারি ম্যানকে এত দেরির কারণ জিজ্ঞাসা করেছিলেন প্রিয়াংশী। তিনি জানতে পারেন আসলে ওই ডেলিভারি ম্যানের নাম সাহিল সিং। তিনি বিটেক গ্র্য়াজুয়েট। কাজ হারানোর পরে তিনি ডেলিভারি ম্য়ান হিসাবে এখন কাজ করেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ম্যাডাম আমার কাছে কোনও স্কুটি নেই। আমি তিন কিমি হেঁটে এসেছি। আমার কাছে কোনও টাকা নেই। আমার ফ্ল্যাটমেট শেষ টাকাটাও নিয়ে নিয়েছে। ২৩৫ টাকা ধার রয়েছে আমার। ভাড়া দেওয়ার টাকাও নেই। 

তিনি জানিয়েছিলেন এর আগে তিনি বাইজু ও নিনজাকার্টে কাজ করতেন। তিনি বলেন, এই ডেলিভারি দিয়ে ২০-২৫টাকা পাব। ১২টার মধ্যে আর একটা ডেলিভারি করতে হবে। এক সপ্তাহ ধরে কিছু খাইনি। শুধু জল আর চা খেয়ে আছি। আমি কিছু চাই না। শুধু একটা কাজ। আগে আমি ২৫ হাজার টাকা আয় করতাম। এখন বাবা মায়ের কাছেও আর টাকা চাইতে পারি না। তাদেরও বয়স হয়েছে। 

এই দুঃখের কথা শুনে প্রিয়াংশী তাঁকে একগ্লাস জল আর ৫০০ টাকা দেন। তাঁর কথা তিনি লিঙ্কেডিনে তুলে ধরেছিলেন। সেই সঙ্গেই ওই যুবকের ছবি, বায়োডাটা সহ যাবতীয় বিররণ তুলে ধরে তিনি আবেদন করেছিলেন কোনও কাজ থাকলে একটু সহায়তা করবেন। 

এরপর ঝড় ওঠে নেটপাড়ায়। প্রায় ১৩৮০০ মন্তব্য। প্রচুর শেয়ার। আর শেষ পর্যন্ত প্রিয়াংশী লিখেছেন, সাহিল কাজ পেয়েছেন। সকলকে ধন্যবাদ। আপনারা খুব ভালো। 

আসলে কাশ্মীরের বাসিন্দা সাহিল। তিনি একটা সময় বড় কোম্পানিতে কাজ করতেন। কিন্তু কাজ যাওয়ার পরে তিনি ডেলিভারির কাজ শুরু করেছিলেন। একটা স্কুটিও নেই। তাই তিনি হেঁটে ডেলিভারি দিতেন। সারা দিন না খেয়ে শুধু ছুটে চলা। সেই সাহিল অবশেষে কাজ পেলেন। তাঁর জন্য কাজ খুঁজতে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন লিঙ্কেডিনের সদস্যরা। এভাবে বিপদের দিনে সাহিলের পাশে থাকল নেটপাড়া।