Union Minister’s Home set on fire: হিংসা থামার নাম নেই মণিপুরে, এবার জ্বালিয়ে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি!

মণিপুরের লাগামহীন হিংসা থামার কোনও নাম নেই। এই আবহে গতরাতে ইম্ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতেই আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিংয়ের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃীরা। প্রায় ১০০০ জন মিলে মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালায় বলে জানা গিয়েছে। এই হামলার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজের বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। তিনি নিরাপদ স্থানেই আছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে মে মাসেও মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়ছিল। তবে এবারে তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে পুরো ভস্মীভূত করে দেওয়া হল।

প্রসঙ্গত, হিংসা রুখতে ইম্ফলে জারি করা হয়েছে কার্ফু। তবে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালায় প্রায় ১০০০ জন। সেই সময় ইম্ফলের কোংবায় অবস্থিত সেই বাড়িতে মোতায়েন ছিল ৯ জন এসকর্ট, ৫ জন নিরাপত্তারক্ষী এবং আটজন অতিরিক্ত রক্ষী। তবে এত সংখ্যক উত্তেজিত জনতাকে থামানো সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। কর্তব্যরত এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, দুষ্কৃতীরা মন্ত্রীর বাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে। এসকর্ট কমান্ডর দীনেশ্বর সিং বলেন, ‘তারা চতুর্দিক দিয়ে হামলা করছিল। প্রায় ১২০০ লোক হামলা চালায়। এত সংখ্যক লোককে আমরা ঠেকাতে পারিনি। পরিস্থিতি তাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তারা মুড়িমুড়কির মতো পেট্রোল বোমা ছুড়ছিল।’

উল্লেখ্য, বিগত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে কুকি ‘জঙ্গিরা’ অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরই মধ্যে কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে সেই রাজ্যে।

প্রসঙ্গত, ইম্ফল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মৈতৈ জনজাতি। তবে তারা সম্প্রতি দাবি তুলেছে যে তাদের তফসিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। তাদের এই দাবির বিরোধ জানিয়েছে স্থানীয় আদিবাসীরা। এই আবহে গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল। সেই মিছিল ঘিরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে চূড়াচাঁদপুর জেলায়। এদিকে তফশিলি উপজাতির ইস্যুর পাশাপাশি সংরক্ষিত জমি এবং সার্ভে নিয়েও উত্তাপ ছড়িয়েছে। এই আবহে গত এপ্রিল মাসে এই চূড়াচাঁদপুর জেলাতেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সভাস্থলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের সদস্যরা। এদিকে এই জেলা থেকে আদিবাসী বনাম মৈতৈদের এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য জেলাতেও।