রাতের দিকে একের পর এক মেট্রো বাতিল হচ্ছে, অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে নাকাল যাত্রীরা

সময়–জ্ঞান হারিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে মেট্রো রেলের বিরুদ্ধে। রাতে কলকাতা মেট্রোর সময় মেনে চলছে না বলেই অভিযোগ। সেটা অবশ্য আপ–ডাউন দু’দিকেই একই অভিযোগ। কারণ রাতের দিকে বাতিল হয়ে যাচ্ছে একের পর এক মেট্রো। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ঢুকছে না। এমনকী পরপর দু’টি ট্রেনও বাতিল হওয়ারও ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। তার জেরে সারাদিন পরিশ্রম করে ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফিরতেও নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রীদের। যাঁরা মেট্রো থেকে নেমে লোকাল ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরবেন তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ।

মেট্রোতে কেন এমন ঘটছে?‌ সূত্রের খবর, রাতের সময়ে বহু জায়গায় মেট্রোর লাইনের কাজ হচ্ছে। এই কাজের জেরে গতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে মেট্রো রেলের। আর তাই অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে মেট্রো আসছে না। ফলে বাতিল ঘোষণা করা না হলেও যাত্রীরা ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে পরের ট্রেন ধরছেন। তখন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখছেন অনেকটা সময় চলে গিয়েছে। মেট্রো স্টেশনের ট্রেন টাইমিং ইন্ডিকেশন বোর্ড রয়েছে। সেখানে যে সময় দেখানো হচ্ছে, সেই নির্দিষ্ট সময়ে মেট্রো আসছে না। বরং তার অনেক পরে মেট্রো আসছে। এই নিয়ে প্রত্যেক স্টেশনে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বাতিল করে চুপ করে থাকলে যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ রাতে ১০ মিনিট অন্তর মেট্রো চলে। কিন্তু সেখানে এখন যাত্রীদের ২০ মিনিট, কখনও ২৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে মেট্রো পেতে। যদি দু’টি মেট্রো বাতিল হয় তাহলে আধ ঘণ্টা ঘড়ি ধরে বসে থাকতে হচ্ছে। তবে কন্ট্রোলরুম থেকে মেট্রো চলাচলের যে রোস্টার চিফ অপারেশন ম‌্যানেজার, জিএম হয়ে রেল বোর্ডের কাছে পৌঁছয় সেখানে কোনও মেট্রো বাতিল দেখানো হয় না। বরং ২৮৮ মেট্রোই চলেছে বলেই জানানো হয়। এই বিরাট অভিযোগ উঠেছে মেট্রো রেলের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা।

মেট্রো বাতিলের প্রমাণ কী?‌ ঠিক দু’‌দিন আগে রাতে চাঁদনি চক স্টেশনে কবি সুভাষ মেট্রো ৯টা ২৫ মিনিটে আসার কথা ছিল। কিন্তু এল ৯টা ৪৩ মিনিটে। আর মাঝখানে যে ৯টা ৩৫ মিনিটের মেট্রো সেটা এল না। আপ লাইনে নোয়াপাড়া থেকে মেট্রো ধরে এসে শুক্রবার দুপুরে আধ ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিলেন ব্যবসায়ী নীহার ব্যানার্জি। তাঁর কথায়, ‘৩টে ৫০ মিনিটে স্টেশনে এলাম। ট্রেন পেলাম ৪টে ১৫ মিনিটে।’‌ এই বিষয়ে মেট্রোর মুখ‌্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কিছু জায়গায় মেট্রোর গতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কারণ লাইনের কাজ চলছে। তাই হয়তো কোনও কোনও ট্রেন সময়ে আসছে না। এটা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।’