Austria Child torture: একরত্তি ছেলেকে খাঁচায় বন্ধ করে নারকীয় অত্যাচার, ধৃত মাকে জেরা করে কী জানা গেল

১২ বছর বয়সি ছেলের উপর নারকীয় অত্যাচারের জেরে গ্ৰেফতার মা। অস্ট্রিয়ার এই ঘটনাই ইদানীং সারা বিশ্বে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সম্প্রতি এক মহিলা তার ১২ বছর বয়সি ছেলেকে কুকুরের খাঁচায় বন্ধ করে রেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, ওই অবস্থায় তার ওপর ঠান্ডা জল ঢেলে দেন। একই সঙ্গে তাকে হিম শীতল তাপমাত্রায় আটক করে রাখেন। পুলিশ খোঁজ পেতেই সঙ্গে সঙ্গে গ্ৰেফতার করে ওই মহিলাকে। বর্তমানে অস্ট্রিয়া পুলিশের হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। লোয়ার অস্ট্রিয়া প্রদেশের পুলিশ মুখপাত্র, জোহান বামস্লাগার সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ৩২ বছর বয়সি ওই মহিলার বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা ও আরও কয়েকটি গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলার জেরেই আপাতত পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: মাত্র ৩ সেকেন্ডেই রুবিকস কিউব সমাধান করল অটিজম আক্রান্ত তরুণ, ভাইরাল হল ভিডিয়ো

আরও পড়ুন: ডিম আগে না মুরগি আগে? শেষমেশ যা উত্তর পেলেন‌ বিজ্ঞানীরা, জানলে চমকে যেতে পারেন

ঠিক কী কারণে ছোট্ট ছেলের উপর এমন নারকীয় অত্যাচার করা হল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। অস্ট্রিয়ার সংবাদমাধ্যম ডেইলি কুরিয়ার প্রথম এই ঘটনার প্রতিবেদন করে। তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলেটি ওই পাশবিক অত্যাচারের কারণে কোমায় রয়েছে। ইতিমধ্যে এক সমাজকর্মী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্কভাবে দেখভালের দাবি জানিয়েছেন। ছেলেটির শরীরের তাপমাত্রা ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (৮০.২ ফারেনহাইট) নেমে গিয়েছিল যা রীতিমতো বিপজ্জনক। ছেলেটিকে উদ্ধারের পর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মায়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পর পুলিশ মাকে আটক করে।

আপাতত, ছেলেটির অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। পুলিশের মুখপাত্র বামস্লাগারের কথায় পুলিশি তদন্তও জোরকদমে চলছে। তবে ঠিক কোথায় এই ঘটনাটি ঘটেছে তা জানা যায়নি। পুলিশের কথায়, কোনও এক বচসা জেরে ছেলেকে ঘুষি মারেন তার মা। এর পর আঘাতের চিকিৎসা না করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কুকুরের বাক্সে আটকে রেখে দেন। পরে ঠান্ডা জল ঢেলে ঠান্ডা পরিবেশে রেখে দিনের পর দিন অত্যাচার চালিয়ে যান। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত নারকীয় নির্যাতন চলেছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে তাকে হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালতের তরফে সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরেই জানা যাবে কীভাবে ও কেন পুরো ঘটনাটি ঘটেছে।