Missing girl: নির্যাতিতার খোঁজে গিয়ে হোম থেকে উধাও ৪ মহিলাকে উদ্ধার করল পুলিশ

নিখোঁজ নির্যাতিতা মহিলার খোঁজ করতে গিয়ে হোম থেকে উধাও হওয়া চার মহিলার খোঁজ পেল পুলিশ। ঝাড়খণ্ড-সহ এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ওই মহিলাদের উদ্ধার করেছে পুলিশ। অনেকেই নাম পরিবর্তন করে নতুন জীবন শুরু করেছিলেন। একজনের শিশু রয়েছে। তবে একাধিক নির্যাতিতার খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ। তাঁদের খোঁজে বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং কলকাতার যৌনপল্লীতে তল্লাশি চালাচ্ছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

জানা গিয়েছে, ৯ বছর আগে ওই নির্যাতিতাকে বন্দর এলাকায় তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি নাবালিকা ছিলেন। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করা হয়। তাদের সাজার মেয়াদও শেষ হতে চলেছে। এদিকে ধর্ষণের পর নির্যাতিতা নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেদিনের নাবালিকার বয়স ২৩ বছর। এই সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নাবালিকার বর্তমান অবস্থা জানতে চান। তখন ওই হোমে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে পুলিশ জানতে পারে নির্যাতিতা-সহ পাঁচজন মহিলার হদিশ মিলছে না। হোমের তরফে জানানো হয়, ওই পাঁচজনকে ধূলাগড়ে একটি জুতো কারখানায় কাজে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তাঁরা একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। তারপরে হঠাৎ তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান। প্রশ্ন উঠেছে হোমে থাকা সত্ত্বেও কোনও নিরাপত্তা ছাড়া কীভাবে ওই মহিলাদের কাজে পাঠানো হল? এরপরে তদন্ত নেমে পুলিশ চারজনকে উদ্ধার করে। যার মধ্যে ধূলাগড় বনগাঁ এবং ঝাড়খণ্ড থেকে তিনজনকে উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা। এর মধ্যে একজনের শিশুও রয়েছে। পুলিশ জানতে পারে, তাঁরা প্রত্যেকেই নাম এবং পরিচয় গোপন করে থাকছিলেন। তবে এক নির্যাতিতার খোঁজ এখনও পাননি গোয়েন্দারা।

লালবাজারের গোয়েন্দাদের আশঙ্কা ওই নির্যাতিতাকে যৌনপল্লিতে পাচার করা হতে পারে। সেই কারণে কলকাতা এবং ভিন রাজ্যের যৌনপল্লিতে গোয়েন্দারা নজর রাখছেন। লালবাজার সুত্র জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার সন্ধানে সিট গঠন করা হতে পারে। একইসঙ্গে হোমের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এদিকে, নির্যাতিতার সন্ধানে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিশকে। কারণ পুলিশের কাছে ওই নির্যাতিতার যে ছবি রয়েছে সেটি ৯ বছর আগেকার। এই সময়ের মধ্যে তাঁর মুখের অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মহিলাদের কাছে বিবরণ শুনে নির্যাতিতার একটি ছবি আঁকা হয়েছে। সেই ছবির সাহায্যে গোয়েন্দারা নির্যাতিতাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। উদ্ধার হওয়া মহিলাদের কাছ থেকেও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।