Morning classes in school: তীব্র গরমে কাহিল পড়ুয়ারা, রাজ্যের ৩টি জেলায় সকালে হচ্ছে স্কুল

গ্রীষ্মের দাবদহে ৪৪ দিন গরমের ছুটি থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে খুলেছে রাজ্যের সরকারি স্কুল। তবে স্কুল খুললেও তাপপ্রবাহে বেহাল অবস্থা পড়ুয়াদের। দক্ষিণবঙ্গে অস্বস্তিকর গরম চলছে। বেলা বাড়তেই সূর্যের তেজে বাইরে বেরোতে গিয়ে বেশ কয়েকবার ভাবতে হচ্ছে। এই গরমে কাহিল হয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা। তাই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে দক্ষিণবঙ্গের তিনটি জেলায় মর্নিং স্কুল চালু করল জেলা শিক্ষা পর্ষদ। হাওড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় আজ শনিবার থেকে মর্নিং স্কুল চালু হয়েছে। যদিও কতদিন পর্যন্ত মর্নিং ক্লাস চলবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে আবহাওয়ার উপর নজর রাখছে পর্ষদ। তার ওপর নির্ভর করে পরবর্তী নির্দেশ জারি করা হবে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।।

তাপপ্রবাহের কারণে অধিকাংশ অভিভাবকরা চাইছিলেন দিবা বিভাগের স্কুলে মর্নিং ক্লাস চালু করা হোক। এর ফলে পড়ুয়ারা তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পাবে। যদিও অনেক স্কুলে মর্নিং ক্লাস হয়ে থাকে। ফলে সেই সমস্ত স্কুলের ক্ষেত্রে সকালে ক্লাস করানো সম্ভব নয়। তবে বেশিরভাগ স্কুলের ক্ষেত্রে এই সমস্যা নেই। তাই তিনটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মর্নিং ক্লাস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান এবং হাওড়া জেলায় কতদিন পর্যন্ত মর্নিং ক্লাস হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানানো না হলেও আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে পড়ুয়াদের মর্নিং ক্লাস হবে বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। এই জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে মর্নিং স্কুলের সময়সীমাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত মর্নিং ক্লাস করানোর নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে সকাল ন’টা থেকে সাড়ে ন’টার মধ্যে। 

তবে বাকি দুই জেলার ক্ষেত্রে সেই ধরনের কোন নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সে ক্ষেত্রে স্কুলগুলিকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। তবে রাজ্যের সমস্ত জেলায় এই সিদ্ধান্ত না নিয়ে শুধুমাত্র তিনটি জেলাতে কেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে পড়ুয়াদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গ্রীষ্মের দাবদহের কারণে রাজ্যে এবার গরমের ছুটি শুরু হয়েছিল গত ২ মে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গরমের ছুটি দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। ৫ জুন স্কুল খোলার কথা ছিল। কিন্তু তাপপ্রবাহের কারণে আরও ১০ দিন ছুটি বাড়িয়ে দেয় রাজ্য সরকার। অবশেষে গত ১৫ জুন থেকে রাজ্যে স্কুল খুলেছে। তারপরেও তাপপ্রবাহ চলতে থাকায় ওই সমস্ত জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।