টিকটকে বেশ জনপ্রিয় ব্যক্তি ডেভিড বেয়ারটেন। আত্মীয়রা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে ডাক পড়ে না তাঁর। এমনকী তাঁর খোঁজখবর রাখেন না আত্মীয়রা। তাই আত্মীয়দের শিক্ষা দিতে মোক্ষম পথ বেছে নিলেন তিনি। নিজের মৃত্যুর অভিনয় করলেন ডেভিড। শুধু একা এই অভিনয় করেছেন তা নয়। তাঁর সঙ্গে ওই অভিনয়ে যোগ দেন তাঁর স্ত্রী ও কন্যারাও। ওই ব্যক্তির কথায়, পরিবারের সদস্যদের সাহায্য না পেলে এই অভিনয় সফলভাবে করা সম্ভব হত না! তবে আত্মীয়দের যোগাযোগ না রাখার এই দৃশ্য শুধু ডেভিডের ক্ষেত্রেই সত্যি নয়। বরং এখনকার দিনে ঘরে ঘরে এই সমস্যা বেড়ে চলেছে। যত জীবন ব্যস্ত হয়ে উঠছে, ততই আত্মীয়দের খোঁজ রাখার প্রবণতা কমতে থাকে। এই দিন সেই সব আত্মীয়দেরও যেন শিক্ষা দিতে চাইলেন বেলজিয়ামের ডেভিড।
আরও পড়ুন: মাত্র ৩ সেকেন্ডেই রুবিকস কিউব সমাধান করল অটিজম আক্রান্ত তরুণ, ভাইরাল হল ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: ডিম আগে না মুরগি আগে? শেষমেশ যা উত্তর পেলেন বিজ্ঞানীরা, জানলে চমকে যেতে পারেন
ইউটিউবের ওই ভিডিয়োতে দেখা যায়, শশ্মানে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাঁর দেহ নিয়ে আসা হচ্ছে। দেখা যায়, তাঁর মেয়ে ওই ভিডিয়ো শুট করতে করতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। তাঁর এক মেয়েকে বলতে শোনা যায়, ‘তোমাকে ছাড়া এই জীবন ভাবতেই পারছি না। তুমি এতো তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবিনি।’ ইতিমধ্যে তার আরেক মেয়ে বলেন, ‘আর কিছুদিন পরেই তুমি দাদু হতে, আমার সন্তানকে দেখে যেতে পারলে না তুমি। এত তাড়াতাড়ি তুমি আমাদের ছেড়ে ভাবতেই পারছি না। তোমায় খুব মিস করব বাবা।’ প্রসঙ্গত, আত্মীয়দের দৃষ্টি টানতেই এই কথা বলা হয়। এরপরেই ভিডিয়োতে দেখা যায়, খোলা ফাঁকা এলাকায় মৃত্যুর খবর পেয়ে পৌঁছে গিয়েছেন অন্যান্য আত্মীয়রা। এঁরাই দিনের পর দিন কোনও যোগাযোগ রাখেন না।
এর পরেই সকলে চমকে যান। হেলিকপ্টার থেকে ডেভিড সুস্থ দেহে নামতে সবাই আবাক হয়ে যান। মৃত্যুর ঘটনা আসলে পুরোটাই রটনা তা বুঝতে পারেন সবাই। এর কারণ কী, তাও স্পষ্ট করে দেন টিকটকখ্যাত ডেভিড। ভিডিয়োটি এর মধ্যেই সমাজ মাধ্যমে প্রচুর সংখ্যক দর্শক দেখেছেন। শুধু তাই নয়, অনেকেই কমেন্ট করে নিজেদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও জানান। তাদের পরিবারেও যে একই সমস্যা, সে কথাও অনেকে ভাগ করে নেন।