Japan’s age of consent: যৌনসম্মতির বয়স ১৩-র বদলে ১৬ হল জাপানে, এক শতাব্দী পর কেন এই বদল

যৌন সম্মতির বয়স ১৩ থেকে বেড়ে ১৬ হল।‌ সম্প্রতি জাপানের পার্লামেন্টে এই বিল পাশ করা হল। শুক্রবার এই বিল পাশ করানোয় গত এক শতকের নিয়মে বদল এল। প্রসঙ্গত সারা শিশু ও মহিলা সুরক্ষার মাপকাঠির নিরিখে সবচেয়ে নিচের দিকেই ছিল জাপান।  তবে পূর্ণাঙ্গ বিল নয়, একটি বিলের সংশোধনী হিসেবেই পাশ করানো হয় এটি। যৌন অপরাধ সংক্রান্ত আইনের একটি সংশোধনের অংশ হিসেবে এই সংশোধনী পাশ করানো হয়। তবে একইসঙ্গে  ওই দিন পার্লামেন্ট এলজিবিটিকিউ সংক্রান্ত একটি আইন পাশ করানো হয়। ওই আইনে সমাজের এলজিবিটিকিউ শ্রেণির মানুষদের নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তবে সমাজকর্মীদের অধিকাংশ এই আইনের সঙ্গে একমত হননি।‌ বরং অনেকেই আইনটির নিন্দা করেন এলজিবিটিকিউদের সমানাধিকার না দেওয়ার জন্য। তাদের যৌন অধিকার সুনিশ্চিত না করার জন্যই মূলত সমালোচনা করা হয় আইনটির। 

আরও পড়ুন: ঠাটাপোড়া গরমে কোথায় বেড়াতে যাবেন ভাবছেন? রইল সেরা ৫ টুরিস্ট স্পটের হদিশ

আরও পড়ুন: ৫ খারাপ অভ্যাসই কমছে যৌনশক্তি, এগুলি ছাড়লেই কিন্তু মিটবে হাজার ঝামেলা

যৌন অপরাধের শিকার যারা তাদের আরও বেশি সুরক্ষা দিতেই এই সংস্কার করা হয়। তবে এর পাশপাশি আততায়ীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়াও সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। দীর্ঘকাল ধরে পুরুষদের আধিপত্যে থাকা আইন ও বিচার বিভাগীয় শাখাগুলিকে এভাবেই সংস্কারের আওতায় আনা হচ্ছে। 

২০১৭ সালে ১১০ বছর পর জাপান প্রথম যৌন অপরাধের বিষয়ক বিভিন্ন ফৌজদারি ধারায়  সংশোধন আনে। যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বেকসুর খালাসের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে জাপানে। শুধু তাই নয়, সম্মতি ছাড়াই তরুণী ও মহিলাদের ব্যক্তিগত ছবি তোলার ঘটনাও বাড়ছে।  ক্রমেই বেড়ে চলা এই ঘটনাগুলিই জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সাম্প্রতিককালের নয়া সংশোধনগুলি সেই ক্ষোভের আঁচ অনেকটাই কমাতে পেরেছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। 

শুক্রবারের আইন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ১৬ বছরের কম বয়সি ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলন হলে তাকে ধর্ষণ বলে বিবেচনা করা হবে। এই কার্যকলাপকে ‘সম্মতিহীন যৌন অপরাধ’ এর অঙ্গ হিসেবেই দেখবে আইন। শুধু তাই নয়, ‘সম্মতিহীন যৌন অপরাধ’এর আটটি পরিস্থিতি নির্দিষ্ট করা হয়েছে ওই আইনে। এর মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক যৌনসংসর্গ, অ্যালকোহল বা মাদক খাইয়ে যৌনমিলন, ভয় বা ভয় দেখানো, সম্মতি ছাড়াই তোলা যৌন শোষণমূলক ছবি, ছবির বিতরণ ইত্যাদি।‌