Teacher transfer: শিক্ষকদের বদলির নির্দেশ দিয়েও পিছিয়ে এল শিক্ষাদফতর, আপাতত স্বস্তিতে ৬০৩জন

ভোটের আর বেশি দেরি নেই। তবে তার মধ্য়েই এবার শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত নির্দেশ থেকে পিছিয়ে এল রাজ্য়ের স্কুল শিক্ষা দফতর। প্রথমদিকে এই বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফের সেই নির্দেশ ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এদিকে এই বদলির পদ্ধতিগত সমস্যা রয়েছে প্রশ্ন তুলেছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এনিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। এদিকে সোমবারই বদলির নির্দেশ সংক্রান্ত ব্যাপারে শুনানির কথা ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবারই তড়িঘড়ি করে বদলির নির্দেশ স্থগিত বলে উল্লেখ করে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কথা ছিল গরমের ছুটির পরে এই বদলির নির্দেশ কার্যকরী করা হবে। কিন্তু তার আগেই স্থগিতের নির্দেশ।  

সব মিলিয়ে ৬০৩ জন শিক্ষকের বদলি সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে আবার তা স্থগিতও করা হয়। এদিকে কেন এই নির্দেশ স্থগিত করা হল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকে গিয়েছে। কেন আচমকা বদলির নির্দেশ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানানো হল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। শিক্ষকদরে মধ্যেও এনিয়ে নানা চর্চা চলছে।

তবে শিক্ষকদের মধ্য়ে এনিয়ে নানা মত রয়েছে। শিক্ষকদের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত ভোটে প্রচুর শিক্ষককে ভোটের কাজে নিয়োজিত করা হয়। ভোটের কাজে নিয়োগ করার আগে যদি তাদের বদলি করা হয় সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। সেকারণে শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত নির্দেশ থেকে আপাতত সরে আসছে শিক্ষা দফতর।কারণ ভোটের সময় যদি শিক্ষকদের বদলি করা হয় তবে ভোটের পরিচালনার কাজে সমস্যা হতে পারে। শিক্ষকদের মধ্যে আরও একটা বিষয় নিয়েও চর্চা চলছে। 

শিক্ষকদের একাংশের মতে, এভাবে শিক্ষকদের বদলি করা হলে স্কুলগুলিতে সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া বাড়ি থেকে দূরে বদলি করা হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। পাশাপাশি অনেকের মতে, ডিএর দাবিতে যারা আন্দোলনে নামছেন তাদের বেছে বেছে বদলি করা হচ্ছিল। তার প্রতিবাদও জানিয়েছেন শিক্ষকদের অনেকেই। 

তাঁদের একাংশের মতে, ডিএ সংক্রান্ত বঞ্চনাকে ঘিরে আগে থেকেই শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তার উপর এই বদলি সংক্রান্ত নির্দেশ নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে শিক্ষকদের একাংশের মধ্য়ে। তার জেরে ইতিমধ্য়েই তারা এই নির্দেশ ফের বিবেচনার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিক্ষা দফতর এই নির্দেশ স্থগিত রাখল। এতে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত অসন্তুষ্ট শিক্ষকদের অনেকেই।