কিশোরকে বাড়িতে ঢুকে যৌন নির্যাতন, আলিপুরদুয়ারে কাঠগড়ায় বিজেপি কর্মী

এক নাবালককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগ উঠেছে এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে এমন অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ায়। কিশোরের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, অভিযুক্ত যুবক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে। ওই যুবক বীরপাড়া এলাকারই বাসিন্দা। পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে পড়ে সে। এরপরে সেখানে ১৩ বছরের কিশোরকে যৌন নির্যাতন করে। কিশোরের চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা সেখানে ছুটে এসে হাতেনাতে ওই যুবককে ধরে ফেলে। পরে কিশোরের পরিবার থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ এসে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। বীরপাড়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার তাকে আদালতে তোলা হবে। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটলেও রবিবার ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। কিশোরকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা।

এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না শাসক দল। তৃণমূলের বীরপাড়া ১ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ‘এটি লজ্জাজনক ঘটনা। ধৃত যুবক একজন বিজেপি কর্মী। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি।’ তবে ওই যুবক বিজেপি কর্মী নয় বলে দাবি করেছে দলের স্থানীয় নেতৃত্ব। বিজেপির ১ নম্বর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, ‘ওই যুবক বিজেপির সঙ্গে জড়িত নয়। সে মানসিক ভারসাম্যহীন।’

ধৃত যুবকের বাবাও ছেলের বিরুদ্ধে ওটা কিশোরকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, চক্রান্ত করে তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। এটা পুরোটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত। যিনি তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি আগে বিজেপি কর্মী ছিলেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন পরে তৃণমূলের যোগ দেন। এবার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির কাছে টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু টিকিট না পাওয়ায় আমার ওপরে ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলেকে ফাঁসিয়েছে ওই ব্যক্তি। তিনি দাবি করেছেন, ওই ব্যক্তি নিজেই তাঁর ছেলেকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। যদিও ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতকে আজ আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতের চেয়ে পুলিশ জানাতে পারে।