Devendra Fadnavis on Indian Muslims & Aurangzeb: কোনও ভারতীয় মুসলিমই ঔরঙ্গজেবের বংশধর নয়, মন্তব্য ফড়ণবীসের

ঔরঙ্গজেব নিয়ে উত্তাল মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। এই আবহে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস দাবি করলেন ভারতে বর্তমানে যে মুসলিমরা বসবাস করেন, তাদের মধ্যে কেউই ঔরঙ্গজেবের বংশোধর নয়। পাশাপাশি তাঁর আরও বক্তব্য, ‘দেশপ্রেমী মুসলিমদের কেউই ঔরঙ্গজেবকে নিজের নেতা হিসেবে মনে করেন না।’ এদিকে ঔরঙ্গজেব নিয়ে বিবাদের মাঝে ঔরঙ্গাবাদ জেলায় ঔরঙ্গজেবের সমাধিতে গিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেছিলেন ‘বঞ্চিত বহুজন অঘাড়ি’র সভাপতি প্রকাশ আম্বেদকর। এই আবহে উদ্ধব ঠাকরেকে দেবেন্দ্র প্রশ্ন করেন, প্রকাশ আম্বেদকরের এই পদক্ষেপ কি সমর্থন করেন বালাসাহেব পুত্র? প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকেই প্রকাশ আম্বেদকরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন উদ্ধব। এই প্রকাশের দাদু ছিলেন ভারতীয় সংবিধানের রচয়িতা ডঃ বিআর আম্বেদকর।

প্রসঙ্গত, ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে প্রশংসাসূচক পোস্ট করায় ১৪ বছর বয়সি এক স্কুল পড়ুয়ার বিরুদ্ধে সম্প্রতি পুলিশে এফআইআর হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। এর আগে ১০ দিন আগে এই ইস্যুতে কোলহাপুরে বনধের ডাক দিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী ডানপন্থী সংগঠনগুলি। সেখান থেকে হিংসা ছড়িয়েছিল শহরে। জারি করা হয়েছিল কার্ফু। সেই প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস মন্তব্য করেছিলেন, ‘সম্প্রতি ঔরঙ্গজেবের সন্তানরা জন্ম নিয়েছে মহারাষ্ট্রে। এর জেরে সমাজে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।’ এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশ আম্বেদকর ঔরঙ্গজেবের সমাধিতে গিয়েছিলেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের আগে উদ্ধব ঠাকরের সরকার ঔরঙ্গাবাদের নাম বদলে শাম্ভাজিনগর করে দিয়েছিল। এই আবহে রাজনৈতিক ভাবে উদ্ধবকে কোণঠাসা করতে চাইছে বিজেপি।

এদিকে কোলহাপুর ছাড়াও আকোলা এবং শাম্ভাজিনগরেও ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি আকোলাতে গিয়ে একটি জনসভায় বক্তৃতা রাখেন ফড়ণবীস। মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আকোলা, শাম্ভাজিনগর, কোলহাপুরে যা হয়েছে তা এক ধরনের পরীক্ষা। কীভাবে মহারাষ্ট্রে হঠাৎ করে ঔরঙ্গজেবের এত সমর্থক জন্ম নিল? ঔরঙ্গজেব কীভাবে আমাদের নেতা হতে পারে? আমাদের একমাত্র রাজা হলেন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ। ভারতে যে মুসলিমরা থাকেন, তারা পর্যন্ত ঔরঙ্গজেবের বংশধর নয়। ঔরঙ্গজেবের পূর্বপুরুষ তো ভারতের বাইরে থেকে এসেছিল। দেশপ্রেমী মুসলিমরা কখনও ঔরঙ্গজেবকে সমর্থন করেন না। তারাও ছত্রপতি শিবাজি মহারাজকেই নিজেদের নেতা মনে করেন।’ এদিকে প্রকাশ আম্বেদকরকে আক্রমণ শানিয়ে দেবেন্দ্র বলেন, ‘আম্বেদকর বলেন যে ঔরঙ্গজেব অনেক বছর আমাদের দেশ শাসন করেছে। তো হিটলারও অনেকদিন জার্মানির সর্বাধিনায়ক ছিল। কতজন জার্মান হিটলারকে ভগবান মনে করেন এখন? উদ্ধব ঠাকরের জোট হয়েছিল আম্বেদকরের সঙ্গে। তো ঠাকরে সাহেব কি এখন আম্বেদকরের এই কাজকে সমর্থন করেন?’ এরপর ফড়ণবীস উদ্ধব ঠাকরেকে আক্রমণ শানিয়ে আরও বলেন, ‘এনসিপি এবং কংগ্রেসের থেকে স্ক্রিপ্টরাইটার ভাড়া করে এনে নিজের ভাষণ লেখাচ্ছেন।’