Fixed dose combination drug: ‘ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ড্রাগ’-এ নিষেধাজ্ঞা ঘিরে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট

‘ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ড্রাগ ’ তৈরি, বিক্রি ও সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। সেই নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এক ফার্মাকিউটিক্যাল সংস্থা। সেই সংস্থার দায়ের করা মামলা নিয়ে এবার কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট।

‘ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ড্রাগ’ বা এফডিসি তৈরি, বিক্রি, সরবরাহ নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান এবার জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট। এই ‘ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ড্রাগ’ হল সেগুলি, যেটি একাধিক ড্রাগকে নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশ্রিত করে তৈরি হয়। এই ড্রাগ তৈরি, বিক্রি, সরবরাহ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা ঘিরে  ওষুধ প্রস্ততকারক সংস্থা গ্লেনমার্ক ফার্মাকিউটিক্যালস একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলায় সংস্থার দ্বারা তৈরি ‘ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ড্রাগ’ যা সরবরাহ করার জন্য নির্দিষ্ট পথে রয়েছে , তা তুলে নিতেও বলেনি কোর্ট। আর এদের বিরুদ্ধে কোনও রকমের বড় পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও জানিয়েছে দিল্লি কোর্ট। উল্লেখ্য, Glencoff Q, Ascodex Dx Syrup, Ascoril-C সিরাপ প্রস্তুত করে থাকে এই সংস্থা। আর এই সবই হল ‘ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ড্রাগ ’। বিষয়টি নজরে নিয়েছে কোর্ট। এদিকে ১৪ টি এমন ‘ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ড্রাগ ’কে নিয়ে গত ২ জুন বড় সিদ্ধান্ত আসে সরকারের। কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ড্রাগ বা ওষুধগুলির কোনও সুশ্রুষাধর্মী দিক নেই, বরং এই ওষুধগুলি থেকে ‘ঝুঁকি’ রয়েছে সাধারণ মানুষের।

দিল্লি হাইকোর্ট স্পষ্ট করেছে যে, আগামী ৩ জুলাই পরবর্তী শুনানির তারিখ পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনও নতুন ওষুধ তৈরি হবে না। ছাড়াও পিটিশনারকে তার স্টকে থাকা ওষুধ ও সরবরাহের জন্য বেরিয়ে যাওয়া ওষুধ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে। বিচারপতি জসমিত সিং ও বিকাশ মহাজনমের বেঞ্চ বলছে, ‘ ইতিমধ্যে সরবরাহকারী চ্যানেলে যেসব ওষুধ রয়েছে তা প্রত্যাহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তী শুনানির তারিখ পর্যন্ত ওষুধের নতুন কোনও উৎপাদন হবে না। এছাড়াও, ইতিমধ্যে সরবরাহকারী চ্যানেলে থাকা ওষুধের জন্য পিটিশনারের বিরুদ্ধে কোনও জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।’

 

 

 

 

 

 

 

 

া