Gita Press:’খুবই সম্মানের’! গান্ধী শান্তি পুরস্কারের অর্থ নীতিগত কারণে গ্রহণ করছে না গীতা প্রেস

 রবিবারই ঘোষিত হয়েছে ২০২১ গান্ধী শান্তি পুরস্কার। আর তার প্রাপকের নাম হিসাবে উঠে আসে উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের গীতা প্রেস। সোমবার গীতা প্রেস জানিয়েছে, এই পুরস্কারের অর্থমূল্য তারা গ্রহণ করতে পারবে না। যদিও ‘এই পুরস্কার খুবই সম্মানজনক’, তাও প্রেসের ঐতিহ্য মেনে তারা অর্থমূল্য গ্রহণ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে গীতা প্রেস।

উল্লেখ্য, গীতা প্রেসের ঐতিহ্য হল, কোনও প্রকারের আর্থিক অনুদান গ্রহণ না করা। সেই দিক থেকে গান্ধী শান্তি পুরস্কারের অর্থ তারা গ্রহণ করতে পারবেনা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রবিবার প্রেসের ট্রাস্টি বোর্ডের সকলে মিলিত হন। এদিকে, রবিবারই জানা গিয়েছে, গীতা প্রেস পেতে চলেছে ২০২১ গান্ধী শান্তি পুরস্কার। সেই রবিবারের বৈঠকেই স্থির হয় যে গান্ধী শান্তি পুরস্কারের ১ কোটি টাকার অর্থমূল্য তারা গ্রহণ করবে না। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক ও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান গীতা প্রেসের তরফে কর্তৃপক্ষ। এই সম্মাননার প্রাপকদের নাম যে কমিটি স্থির করে, সেই কমিটির প্রধানের পদে রয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর সেই হিসাবে গীতা প্রেস এই কমিটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে। গীতা প্রেসের তরফে ম্যানেজার লালমনি ত্রিপাঠী বলেন, ‘এটা অত্যন্ত সম্মানের বিষয় আমাদের জন্য। তবে এটা আমাদের নীতি যে কোনও আর্থিক অনুদান আমরা গ্রহণ করি না। ট্রাস্টি বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই সম্মানের কোনও আর্থিক রূপ গ্রহণ করা হবে না। তবে এই পুরস্কার সম্মানার্থে আমরা গ্রহণ করছি।’ 

এই ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কেশব রাম আগরওয়াল। বোর্ডের জেনারেল সেক্রেটারি বিষ্ণু প্রসাদ চাঙ্গোটিয়া, ট্রাস্টি হলেন, দেবী দয়াল। এদিকে, এই পুরস্কার ঘিরে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে একটি আনন্দের স্রোত খেলে গিয়েছে। এই জায়গাতেই রয়েছে এই প্রেস। যখনই খবর আসে যে এই পুরস্কারটি পেতে চলেছে গীতা প্রেস, তখনই আনন্দের স্রোত খেলে যায়। ১৯২৩ সালে গীতা প্রেস শুরু হয়। বিশ্বে হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থের প্রকাশনায় গীতা প্রেসই সবচেয়ে বড় প্রকাশনা কেন্দ্র।