National health mission: কেন্দ্রের টাকায় সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ছবি আপলোডেও ‘ঢিলেমি’ রাজ্যের, আটকাতে পারে বরাদ্দ

এতদিন ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে নানা বঞ্চনার অভিযোগ তুলে গলা ফাটাতেন শাসক নেতৃত্ব। তবে তা নিয়ে নানা সময়ে ব্যাখাও দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে এবার স্বাস্থ্যদফতরের অন্দরে অনিশ্চয়তার মেঘ। কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আদৌ আসবে কি না তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা। কারণ হিসাবে যেটা জানা যাচ্ছে, আসলে রাজ্য সরকারের নিজস্ব গাফিলতির কারণেই এই কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আটকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি মোকাবিলায় একেবারে আদা জল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতর। 

সমস্যাটি ঠিক কোন জায়গায় হয়েছে? 

সূত্রের খবর, আসলে কোনও প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য় বর্তমানে জিও ট্যাগিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেখানেই বিরাট গাফিলতির অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, দেশ জুড়ে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে  হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে পরিণত করার জন্য কেন্দ্রের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন আর্থিক বরাদ্দ করেছে। কিন্তু সেজন্য যে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির উন্নয়ন করা হবে সেগুলি কাজ কতটা হয়েছে সেটা দেখাটাও জরুরী। মানে তার প্রমাণ স্বরূপ সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ছবি নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করতে হয়। এপ্রিল-মে মাসে সেই ছবি পোর্টালে আপলোড করার কথা ছিল। কিন্তু সময় পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ কাজ হয়নি এখনও। আর হয়তো এবার তার মাশুল গুনতে হবে। 

কথা ছিল ওই সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের দেওয়ালে স্থায়ীভাবে logo এঁকে সেটার ছবি তুলতে হবে। কিন্তু বাস্তবে সেসব হয়নি। রাজ্যে মোট ১০১২৮ এই ধরনের কেন্দ্র হওয়ার কথা রয়েছে। তার ছবিই আপলোড করতে হবে পোর্টালে। এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বর্তমানে রাজ্য ও জেলা স্তরের স্বাস্থ্য় আধিকারিকদের মধ্য়ে সমণ্বয়ের অভাবটিও ক্রমশ প্রকট হতে শুরু করে।

একাধিক কেন্দ্রের সামনে অস্থায়ী ভাবে ব্যানার লাগিয়ে তার ছবি তোলা হয়। কিন্তু সেই ধরনের ছবির মানতে চায়নি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। এরপর বাধ্য় হয়েই ছবি আঁকার কাজ শুরু হয়। কিন্তু সেই কাজ করতেও কিছুটা সময় লাগার কথা। সব মিলিয়ে একেবারে শিরে সংক্রান্তি অবস্থা। তবে বর্তমানে তাড়াহুড়োর জেরে কাজ অনেকটাই এগিয়েছে বলে খবর। তবে কলকাতায় কিছুটা ঢিমেতালে কাজ হয়েছে বলে খবর। তবে টাকা আটকাবে না বলে আশ্বস্ত করছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। 

এদিকে কেন্দ্রীয় প্রকল্প অনেক সময় নিজেদের নামে চালিয়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। এক্ষেত্রেও কি অস্থায়ী ভাবে ব্যানার টাঙিয়ে ছবি তুলে পরে নিজেদের বলে চালিয়ে দেওয়ার তাল করেছিল সরকার? কিন্তু এতে বাদ সেধেছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন।