‘‌তৃণমূল নেতাদের রক্ত ঝরবে’‌, পুরুলিয়ার পর ঝাড়গ্রামে পড়ল মাওবাদী পোস্টার

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আবার নতুন করে অশান্তির আগুন জ্বলতে শুরু করেছে জঙ্গলমহলে। কয়েকদিন আগেই পুরুলিয়ার বলরামপুরে দুই বিধায়ককে হত্যার করার হুমকি দিয়ে পোস্টার পড়েছিল। এবার আজ, মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে মাওবাদীরা পোস্টার ফেলল। আর তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জামবনি থানার চিল্কিগড়ে। এখানের কনকদুর্গা মন্দির সংলগ্ন জঙ্গলে পোস্টারগুলি দেখতে পান স্থানীয় গ্রামবাসীরা। সাদা কাগজের উপর লাল কালিতে পোস্টারগুলি লেখা। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা রয়েছে।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ জঙ্গলমহলে শান্তির বাতাবরণ ফিরিয়ে এনেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে পড়েছে মাওবাদী পোস্টার। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে ঝাড়গ্রামের জামবনি থানার চিল্কিগড়ে। কিছুদিন আগে জঙ্গলমহলে কুড়মি আন্দোলন বা আদিবাসী আন্দোলন দেখেছিল বাংলার মানুষজন। কিন্তু মাওবাদীদের উৎপাত দেখা যায়নি। সেখানে এবার সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের রক্ত ঝরানোর হুমকি দিয়ে মাওবাদী পোস্টার যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াল বলে মনে করা হচ্ছে।

ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস?‌ এই পোস্টার মাওবাদীদের নয় বলেই মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি প্রসূন ষড়ঙ্গী বলেন, ‘‌বিজেপি আর সিপিএম এখন এক হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠে এভাবে আতঙ্ক তৈরি করছে। ওরা আসন ভাগাভাগি করছে নিজেদের মধ্যে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে একটা সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছে। এগুলি মাওবাদীদের পোস্টার নয়।’‌

ঠিক কী লেখা আছে পোস্টারে?‌ ওই পোস্টার মাওবাদীদের কিনা তা নিযে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু পোস্টারে লেখা আছে, ‘‌তৃণমূলকে বিদায় দেওয়া হবে। আবার রক্ত ঝরবে তৃণমূল নেতাদের। তৃণমূলের নেতাদের রক্ত ঝরবে জঙ্গলমহলে।’‌ সাদা কাগজে লাল কালি দিয়ে লেখা হয়েছে পোস্টারগুলি। যদিও ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, ‘‌এগুলি মাওবাদীদের পোস্টার বলে মনে হয় না। কেউ স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজ করেছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বিষয়টি।’‌ এই পোস্টারগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সবটা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। আগামী ৮ জুলাই গোটা বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। সেখানে মাওবাদীদের উৎপাত বাড়লে প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপই নিতে হবে।