রথ–উল্টোরথে দু’‌জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাবে রেল, তবে পরিষেবায় থাকছে চমকও

আজ রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে রথ উৎসব। এই রথ–উল্টোরথ উৎসবকে সামনে রেখে শিয়ালদা থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত দু’জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। তাই আজ, মঙ্গলবার ও ২৮ জুন যাত্রীদের জন্য এই বিশেষ পরিষেবায় চমক রেখেছে রেল। শহর কলকাতার বহু মানুষজন রথ–উল্টো রথ উৎসবে কৃষ্ণনগর যান। এখানে রথ উৎসব বড় আকারে হয়। প্রত্যেক বছরই এখানে ভাল হয় ভক্তদের। এই উৎসবের কথা মাথায় রেখে যাত্রীদের সুবিধার জন্য আজ মঙ্গলবার এবং ২৮ জুন চারটি স্পেশাল ট্রেনের সময়সূচি প্রকাশ করেছে শিয়ালদা ডিভিশন।

কেমন থাকছে ট্রেনের সূচি?‌ পূর্ব রেল সূত্রে খবর, রথ উৎসব আব উল্টো রথে শিয়ালদা থেকে ট্রেন দু’টি ছাড়বে একটা সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে। দ্বিতীয়টি ২ টো ৫০ মিনিটে। স্পেশাল বা বিশেষ এই ট্রেন দু’টির মধ্যে প্রথমটি কৃষ্ণনগর পৌঁছবে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে। আর দ্বিতীয়টি পৌঁছবে বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটে। আবার কৃষ্ণনগর থেকে জোড়া স্পেশাল বা বিশেষ ট্রেন ছাড়বে একটি দুপুর ২টো ৫০ মিনিটে। দ্বিতীয়টি সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে। ট্রেন দু’টি শিয়ালদায় পৌঁছবে প্রথমটি বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে। আর দ্বিতীয়টি রাত ৯টা ৩৭ মিনিটে। সুতরাং যাত্রীদের রথ দেখা কলা বেচা দুই হল। উৎসবে অংশ নিলেন। আবার সময়ে বাড়ি ফিরে এলেন।

কেন এমন ব্যবস্থা করা হল?‌ সূত্রের খবর, এই দুটি দিন অন্যান্য দিনের থেকে একেবারেই আলাদা। কারণ এই দুটি দিনে মারাত্মক ভিড় হয় ট্রেনে। কৃষ্ণনগর, নবদ্বীপ এসব জায়গায় যেতে মানুষ বেরিয়ে পড়েন। তাই রেলের উপর চাপ বাড়ে। এই চাপ কমাতেই রথযাত্রায় যাত্রীদের জন্য স্পেশাল ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করছে রেল। তবে এখানে আরও একটা কারণ আছে। এই ট্রেনে সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটার পরিমাণ বাড়বে। তাতে রেলের একলপ্তে অনেক টাকা আয় হবে। তাই সেটা নিশ্চিত করতেই উৎসবের মরশুমে যাত্রীদের অগ্রিম টিকিট কাটার ব্যবস্থা করে দিল রেল।

কেমন চমক রেখেছে রেল?‌ রথ এবং উল্টোরথকে সামনে রেখে ২২ জুন থেকে ২১ জুলাই টানা এক মাস প্রত্যেক রবিবার শিয়ালদা ডিভিশনের অ্যাডভান্স রিজার্ভেশন পিরিয়ড সকালের দিকে খোলা থাকবে। এমনিতে রবিবার ছুটির দিন তা বন্ধ থাকে। সকালে খোলে না। রথ উৎসবের জন্য ২৫ জুন, ২, ৯ এবং ১৬ জুলাই খোলা থাকবে সকালে। শিয়ালদা শাখায় মোট ৩৪টি অ্যাডভান্স রিজার্ভেশন পিরিয়ড রয়েছে। সেটা শিয়ালদা, বিধাননগর রোড, কলকাতা টার্মিনাল থেকে শুরু করে হাবড়া, ঠাকুরনগর, লালগোলা—সর্বত্র খোলা থাকবে সকালে। ‌