Indian Fencer Bhavani Devi Pens Emotional Message After Historic Victory In Asian Fencing Championships

নয়াদিল্লি: এশিয়ান ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ইতিহাস গড়লেন ভবানী দেবী (Bhavani Devi)। জাপানের মিসাকি ইমুরাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে। এরপরই পদক নিশ্চিত করেন তিনি। ভবানীর প্রতিদ্বন্দ্বী এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রমতালিকায় ১ নম্বরে রয়েছে। ভবানী ক্রমতালিকায় সম্প্রতি রয়েছেন ৪৯ নম্বরে। অথচ লড়াইয়ে বারবার জাপানের প্রতিদ্বন্দ্বীকে বেগ দিলেন তিনি। মিসাকি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও (World Cup) হয়েছেন তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে ১৫-১০ ব্যবধানে ভবানী হারিয়ে দেন মিসাকিকে। সেমিতে উজবেকিস্তানের জেইনাব ডেবেকোভার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন ভবানী দেবী। সেখানে যদিও হেরে যান তিনি। তবে ব্রোঞ্জ জিতেও ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তিনি। 

জয়ের পর ভবানী দেবী বলেন, ”সিনিয়র ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ভারতীয় হিসেবে পদক জয় সত্য়িই দুর্দান্ত একটা অনুভূতি। পোডিয়ামে দাঁড়ানোর অনুভূতিও দারুণ। কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম। ব্রোঞ্জ জিতলেও এই পারফরম্যান্স আমাকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে ও আরও পরিশ্রম করে দেশকে গর্বিত করতে চাই। সবার সমর্থনের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।”

২০১৭ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের হয়ে ফেন্সিংয়ে পদক জেতেন ভবানী দেবী। ২০১৮ সালে রেইকজাভিকের টুরনোই স্যাটেলাইট ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতেছিলেন তিনি। টোকিও অলিম্পিক্সে অংশ নিয়ে যদিও পদক জিততে ব্যর্থ হন তিনি। 

ভারতের ফেন্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাজীব মেহতা ভবানীকে তাঁর ঐতিহাসিক কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ”ভারতীয় ক্রীড়ার জন্য এটি একটি অত্যন্ত গর্বের দিন। ভবানী এমন একটি সাফল্য পেয়েছেন, যা এর আগে কেউ করতে পারেননি। তিনিই প্রথম ভারতীয় ফেন্সার যিনি মর্যাদাপূর্ণ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিতেছেন। পুরো ফেন্সিং ফ্র্যান্টারিটির পক্ষ থেকে আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই। সেমিফাইনালে হেরে গেলেও ম্যাচটা খুব কাছাকাছি ছিল। পার্থক্য ছিল মাত্র এক পয়েন্ট। তাই এটা একটা বড় উন্নতি।”

পাহাড়কন্যা পিয়ালির নামে নতুন অ্যালবাম

গান ও কবিতায় পর্বতারোহী পিয়ালি বসাকের দুর্গম শৃঙ্গ জয়ের লড়াই তুলে ধরলেন প্রাক্তন ফুটবলার ভুবন চট্টোপাধ্যায়। অ্য়ালবামের নাম ‘অপরাজিতা’। তাঁর লড়াইকে কুর্ণিশ জানানোর উদ্য়োগে খুশি পিয়ালি। শৃঙ্গ জয়ের নেশা। সেই নেশায় বার বার দুর্গম পাহাড়ি পথে পাড়ি দেন পর্বতারোহী পিয়ালি। একেবারেই মসৃণ নয় তাঁর পথচলা। আর্থিক সমস্য়া তো রয়েইছে। সেই সঙ্গে পদে পদে প্রতিবন্ধকতাকে ঠেলে এগোতে হয়। তবে শৃঙ্গ জয়ের অমোঘ টানে বাধা হতে পারেনি কোনও প্রতিবন্ধকতাই।