Malda Panchayat news 2023: মমতার ফোন, জেলা পরিষদ আসন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার মালদার বিধায়ক চন্দনার

মালদায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরতে পরতে নাটক। মালদার বৈষ্ণবনগর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার নিজেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে দলের চাপে মঙ্গলবার

মনোনয়নপত্র তুলে নিলেন মালদার বৈষ্ণবনগর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার। 

তিনি জেলা পরিষদ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। ৪০ নম্বর আসনে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণ ওই আসনে তাঁর স্বামী পরিতোষ সরকারও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। একই আসনে দুজন প্রার্থী। আবার দুজনে স্বামী স্ত্রী। স্ত্রী আবার নিজে বিধায়ক। সব মিলিয়ে অস্বস্তি বাড়ছিল শাসক শিবিরে। 

দল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পেয়েই তিনি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করতে চলে আসেন। সংবাদমাধ্যমে চন্দনা সরকার, আজ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। মুখ্যমন্ত্রী আমায় ফোন করেছিলেন। দলের উর্ধে কেউ নয়। দল যেভাবে বলেছে সেভাবেই কাজ করেছে। আমি বিধায়ক হিসাবে থাকছি। সাংগঠনিক প্রেসিডেন্টও আছি। সেক্ষেত্রে দলের দুটো পদ আছে।নেত্রী বলেছেন সেই মতো কাজ করেছি। 

পরিতোষ সরকার, পার্টির উর্ধে কেউ নয়। আমি কোনওদিন ভোটে দাঁড়াইনি। আমার স্ত্রী বিধায়ক হিসাবে আছেন। দল নির্দেশ দিয়েছে প্রত্যাহার করার জন্য। এক ব্যক্তি এক পদ।কলকাতা থেকে ফোন করেছিল। চক্রান্ত কী আছে জানি না। লিখিতভাবে প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে দিয়েছে স্ত্রী। 

একদিকে বিধায়ক। আবার তিনিই ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের লড়াইতে নেমে পড়েছিলেন। জেলা পরিষদের আসনে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন বিধায়ক। এনিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। দলের অন্দরে অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন এক ব্যক্তি এক পদকে মান্যতা দেওয়া দরকার। একই ব্যক্তি যদি একাধিক পদে বসে থাকেন তবে বাকিরা কী করবে? 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের টিকিটকে ঘিরে মালদায় তৃণমূলের অন্দরে প্রচুর দ্বন্দ্ব রয়েছে। চন্দনা সরকার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরে তার বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন একেবারে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। এমনকী দলের ওপরমহলেও নালিশ করা হয়েছিল। তিনি যাতে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন সেকারণেই এবার ওপরমহলে থেকে চাপ দেওয়া হয়। খোদ তৃণমূল নেত্রী এনিয়ে হস্তক্ষেপ করেন। এরপরই ফোন আসে বিধায়কের কাছে। কিন্তু নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করতে পারেননি তিনি। কার্যত অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।

সংবাদমাধ্যম তাঁকে প্রশ্ন করেছিল এর পেছনে কী চক্রান্ত রয়েছে? তিনি সাফ জানিয়ে দেন, চক্রান্ত আছে কি না তা বলতে পারব না।