Multi-millionaire: কেরলের বাড়িতে খাবার জুটত না, ছোটবেলায় বাবাকে হারানো আব্দুলই আজ দুবাইয়ের ধনকুবের

একেই বলে স্বপ্নের যাত্রা। একেবারে রূপকথার মতো। আর সেই রূপকথার নায়কের নাম পিবি আব্দুল জব্বার। খুব কম বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন। এরপর তিনি কাজের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন। আসলে আর কিছু করার ছিল না। পেট তো চালাতে হবে। কেরলের ত্রিশূর জেলার একটি প্রান্তিক গ্রামে জন্মেছিলেন তিনি। তাঁর যখন ৬ বছর বয়স তাঁর বাবা দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর শুরু হল অন্য লড়াই। 

মা আব্দুল ও  তার ভাইদের বড় করতে শুরু করেন। এদিকে একটু বড় হওয়ার পরেই উপার্জনের রাস্তা খুঁজতে শুরু করেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্য থেকে যারা আসতেন তারা যে জিনিসপত্র নিয়ে আসতেন তা কিনে নিতেন আব্দুল। এরপর সেগুলি বিক্রি করতেন। 

আব্দুল বলেন, ওই দেশ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আর সেই দেশই আমাকে সফল ব্যবসায়ী তৈরি করল। গাল্ফ নিউজে তিনি এনিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। 

এদিকে কেরলে বসেই আব্দুল স্বপ্ন দেখতেন একদিন বিদেশে যাবেন। কিন্তু কীভাবে যাবেন সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না। 

এরপর ১৯৯০ সাল। তিনি দুবাই আসার সুযোগ পান। এরপরই কাজের খোঁজে তিনি দুবাই চলে আসেন। আর সেই শুরু। কোনওরকমে কাকার মাধ্যমে ভিসা জোগাড় করে তিনি দুবাই চলে আসেন। একটি কোম্পানিতে কাজ করাও শুরু করেছিলেন তিনি। আর সেখান থেকে তিনি কীভাবে ব্যবসায়ী হতে হয় তা শিখতে শুরু করেন। 

ব্যবসার সব দিক সম্পর্কে তিনি শিখতে শুরু করেন। অর্থনীতি, প্রশাসন, বিক্রয় সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি শিখতে শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে তিনি স্বাধীন ব্যবসায়ী হওয়ার দিকে এগোতে থাকেন। 

এরপর ৫ বছরের মধ্যে তিনি প্যাকেজিং ব্যবসা শুরু করে দেন। নাম মাজেদ প্লাস্টিকস। একটা ছোট্ট ঘরে শুরু হল পথ চলা। একটা ছোট্ট গুদামও ছিল সঙ্গে। কিন্তু অত্যন্ত ভালো মান বজায় রাখতেন তারা। নামডাক বাড়তে থাকল। দু বছরের মধ্যেই আবু ধাবিতে তাদের শাখা তৈরি হয়ে গেল। এরপর ২০০০ সালে হটপ্যাক প্যাকেজিং কারখানা, ২০০৫ সালে অপর একটা কোম্পানি খোলেন তিনি। আর সেই হটপ্যাক গ্লোবাল এখন বিশ্বের ১৬টি দেশে শাখা খুলেছে। মধ্য প্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাতে তাদের সেলস নেটওয়ার্কও রয়েছে। ১৫টি ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট, ২৯টি শাখা, ৪৯টি সেলস কাউন্টার, ৩৫০০ কর্মী, ৩১টি দেশের ২৫,০০০ আন্তর্জারিত ব্র্যান্ড তাদের গ্রাহক। কেরলের গ্রামের গরিব পরিবারের সেই সন্তানই আজ আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী।