Street vendors: অবৈধ হকারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে পুরসভার বোর্ড ভেঙে দেব, হুঁশিয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের

জবরদখল ও হকার উচ্ছেদ নিয়ে সোমবার বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট রীতিমতো কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে সতর্ক করে দিয়েছে। একেবারে কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট রাস্তা জুড়ে বসে থাকা অবৈধ দোকানদার, হকার, আর শহরের জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে কর্পোরেশনের বোর্ড ভেঙে দেওয়া হবে। 

বিচারপতি  টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি অজয় কুমার মেহেতার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি শুনছিলেন।  একজন আইনজীবী এই মামলা করে জানিয়েছিলেন, মল্লিকবাজারে একেবারে রাস্তা জুড়ে মোটর ভেহিকেলসের স্পেয়ার পার্টসের দোকান গজিয়ে উঠেছে। যার জেরে রাস্তা দিয়ে চলা যাচ্ছে না। 

অপর একটি মামলায় আদালত দেখে একজন আইনজীবী এই হকারদের দৌরাত্মের জেরে বাড়ির দরজা দিয়েও ঠিক করে ঢুকতে পারেন না। এদিকে সেই মামলায় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় এটা ব্যস্ত বাজার এলাকার মধ্যে পড়ে । এনিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়।

এরপরই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ  এই অনুমোদনহীন দোকানদার ও হকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আপনার স্টেট মেশিনারি পুরো ব্যর্থ।  যদি আপনি হাত তুলে নেন, তবে আমরাও আপনার মিউনিসপ্যালিটিকে ভেঙে দেব। আপনি পুর আইনকে প্রয়োগ করতে পারছেন না। আপনি বলে দিন যে আপনি আইন প্রয়োগ করতে পারছেন না। তবে আমরা তা করে দেখাব। আমরা কর্পোরেশনকে ভেঙে দেব। জানিয়ে দেব এক্সিকিউটিভরা পুরসভা চালনা করবেন।নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এই কাজ পরিচালনা করবেন না। 

আদালত জানিয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারত যদি রাজ্য়ের তরফে হকিং কমিটি ঠিক করে কার কী প্রয়োজন সেটা দেখত।

প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, আপনি হকিং কমিটি তৈরি করেননি। ১৫ বছর আগে আপনি যদি হকিং কমিটি তৈরি করতেন তবে সমস্ত (হকারদের) পুনর্বাসন করা সম্ভব হত। ওরা গরিব মানুষ ওরা কোথায় যাবেন? আপনাকে বাস্তব পরিস্থিতিটা বুঝতে হবে। কোনও একটা দিন তো আপনাকে বিষয়টি বুঝতে হবে। 

এদিকে আদালত দেখে, যে ছবিগুলি পেশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে কোনও কিছুই করা হয়নি। আদালতের পর্যবেক্ষণ যে দোকানদারের লাইসেন্স রয়েছে, বিদ্যুতের বিল দিচ্ছেন তার সামনে একজন অবৈধ হকার এসে বসে পড়ছেন। আর সরকার ওই হকারকে সুরক্ষা দিচ্ছে। আর যিনি নিয়ম মেনে সব করছেন তার পাশে সরকার নেই। এটা কী হচ্ছে? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।