Ex RAW Chief AS Dulat on Kashmir: ‘বিচ্ছিনতাবাদ শেষ কাশ্মীরে’, বললেন রাহুলের সঙ্গে পা মেলানো প্রাক্তন RAW প্রধান

অটল বিহরী জমানায় কাশ্মীর বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। তারও আগে রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইংয়ের প্রধানের পদ সামলেছেন। সম্প্রতি আবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রায় পা মিলিয়ে শিরোনামে এসেছিলেন। তিনি এএস দৌলত। এহেন প্রাক্তন গুপ্তচর দাবি করলেন, কাশ্মীরে আর বিচ্ছিনতাবাদ আছে বলে তিনি মনে করেন না। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, উপত্যকার মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে এবার আলোচনায় বসার সময় এসেছে। উল্লেখ্য, অটল জমানার উপদেষ্টা হিসেবেও পাকিস্তান এবং রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার পক্ষে সওয়াল করতেন দৌলত।

সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দৌলত বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, কাশ্মীরে বিচ্ছিনতাবাদের মৃত্যু ঘটেছে। এটা প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। ৩৭০ ধারার মতো বিচ্ছিনতাবাদও চলে গিয়েছে।’ এদিকে দৌলত দাবি করেন, বর্তমানে হুরিয়ত কনফারেন্সের প্রধান মিরওয়াইজ উমর ফারুক কাশ্মীরের রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তবে ২০১৯ সালের ৪ অগস্ট থেকে তাঁকে গৃহবন্দি রাখা য়েছে। দৌলতের মতে, মিরওয়াইজ ছাড়া পেলে আসল পরিস্থিতি বোঝা যাবে। এবং তিনি দাবি জানান, মিরওয়াইজকে দ্রুত মুক্তি দেওয়া উচিক।

দৌলত বলেন, ‘আমার মনে হয় কাশ্মীরি রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মিরওয়াইজ। তবে তাঁকে বিগত বেশ কিছু বছর ধরে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তাই তিনি বাইরে এলেই পরিস্থিতির বিষয়ে পুরোপুরি বুঝতে পারব আমরা। আমি মনে করি, যত দ্রুত সম্ভব মিরওয়াইজকে মুক্তি দেওয়া উচিত। এরপরই আমরা দেখতে পারব যে তিনি কোন পথ বেছে নেবেন।’ এদিকে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে দৌলত মন্তব্য করেন, ‘কাশ্মীর কোনওদিনই বড় কোনও ইস্যু ছিল না। আবার এটা চিরকালই একটি ইস্যু। আমার মতে যত দ্রুত এখানে নির্বাচিত সরকার গঠন হবে, তত ভালো। আলোচনাই এই ক্ষেত্রে একমাত্র সমাধান সূত্র। অন্তত মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’

এদিকে দৌলত আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার মনে হয় না পাকিস্তান কাশ্মীরিদের মনে কোনও প্রভাব ফেলছে। এককালে যারা পাকিস্তান সমর্থন করতেন, তারাও এখন বলছেন, এ কোন পাকিস্তান। পাকিস্তানের নিজেরই অবস্থা ভালো নয়। তবে আমার একটি বিষয়ে ভয় রয়েছে। দ্রুত কাশ্মীরের তরুণরা কট্টরপন্থী হয়ে যাচ্ছে। আগে এমনটা ছিল না। কাশ্মীরের সমাজ চিরকালই খুবই খোলা মনের ছিল। তবে আমি এটা বলতে পারি যে একজন কাশ্মীরি সব সময় শান্তি চায়।’ এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পা মেলানো দৌলত কাশ্মীর নিয়ে ইউপিএ-১-কে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তিনি বলেন, ‘২০০৫ সালে ইউপিএ সরকার মুফতি সইদকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে ঠিক কাজ করেনি। তবে এটাই রাজনীতি।’