Football News: 2024 Copa America In US To Start On June 20, Final To Be Played July 14

নয়াদিল্লি: বেজে গেল ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকার (Copa America) দামামা।

আগামী বছর হবে কোপা আমেরিকা। সেই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে লাতিন আমেরিকার ১০টি দেশ। সঙ্গে থাকবে মধ্য ও উত্তর আমেরিকার ৬টি দেশ। সব মিলিয়ে ১৬ দেশের টুর্নামেন্ট। পরের বছর কোপা আমেরিকা আয়োজিত হবে মার্কিন মুলুকে। ২০ জুন শুরু হবে টুর্নামেন্ট। ১৭ জুলাই ফাইনাল আয়োজিত হবে।

দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা কনমেবল (CONMEBOL) থেকে মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের দিন ঘোষণা করে দেওয়া হল। তবে কোন কোন শহরে কোপা আমেরিকা আয়োজিত হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে উদ্যোক্তা দেশ আমেরিকা। 

কোপা আমেরিকায় এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্তিনার সামনে খেতাব রক্ষার লড়াই। কারণ, গতবার কোপা আমেরিকা জিতেছিল আর্জেন্তিনা। সেটাই ছিল দেশের জার্সিতে লিওনেল মেসির প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক ট্রফি। ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিক্সে সোনা জেতার পর।

এর আগে ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকা আয়োজিত হয়েছিল মার্কিন মুলুকে। সেবারও ১৬ দল অংশ নিয়েছিল।

কনমেবলের প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো ডমিঙ্গেজ বলেছেন, ‘আগামী কোপা আমেরিকা দর্শকদের ফুটবল উৎসবে মেতে ওঠার সুযোগ করে দেবে।’

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে সফর করছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্তিনা (Argentina) দল। এশিয়া সফর করছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। চিনের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলেছিলেন লিওনেল মেসিরা (Lionel Messi)। তারপরই জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলেন লা আলবিসেলেস্তেরা।

ভারতেও কি আসবেন মেসিরা? শুনলে অনেকে অবাক হতে পারেন। তবে ভারতে আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন মেসিরা। যদিও সেই সম্ভাবনা বাস্তবের আলো দেখছে না। বিশাল খরচের কথা ভেবে পিছিয়ে এসেছে ভারত!

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্তিনা ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। মেসিদের ভারত সফরে আসার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। তবে বিপুল খরচের জন্য পিছিয়ে আসে ভারত। জানিয়েছেন সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সচিব সাজি প্রভাকরণ।

সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘আর্জেন্তিনা ফুটবল সংস্থা চেয়েছিল ভারতে একটি ফ্রেন্ডলি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করতে। কিন্তু বিরাট খরচের জন্য পিছিয়ে আসতে বাধ্য হই আমরা। ভারতে এরকম ম্যাচ আয়োজন করতে গেলে আর্থিকভাবে শক্তিশালী কোনও পার্টনার দরকার ছিল। অ্যাপিয়ারেন্স ফি হিসাবে বিশাল অঙ্কের অর্থ দাবি করেছিল আর্জেন্তিনা এবং আমাদের যা অর্থনৈতিক অবস্থা, তাতে সেই খরচ বহন করা সম্ভব নয়।’