Matthew Smith: প্রিন্স জর্জের লন্ডনের স্কুলের শিক্ষকের কীর্তি ফাঁস! ভারতের শিশুদের যৌন অত্যাচার করার জন্য দিতেন অর্থ

টাকার বিনিময়ে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে নগ্ন ছবি চাইতেন লন্ডনের এক শিক্ষক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদের যৌনতার ছবির প্রতি তার নজর ছিল। তবে সেই প্রাক্তন ডেপুটি হেড টিচারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতের নাম ম্যাথিউ স্মিথ। বয়স ৩৪।  ইস্ট ডালউইচের বাসিন্দা ওই শিক্ষককে গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি যে স্কুলে পড়াতেন সেই সেন্ট থমাস ব্যাটেরসিয়া স্কুলে প্রিন্স জর্জও পড়তেন। প্রসঙ্গত প্রিন্স জর্জ হলেন ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্য। রাজা তৃতীয় চার্লসের তিনি নাতি।

তদন্ত করতে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে বিস্ফোরক সব তথ্য। তিনি ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে আপত্তিকর সব ছবি শেয়ার করতেন। গ্রেফতার করার সময়তেও স্মিথ ভারতে বসবাসকারী এক কিশোরের সঙ্গে কথা বলছিলেন। অর্থের বিনিময়ে বাচ্চাদের যৌনতার ছবি চাইছিলেন তিনি। 

মাই লন্ডনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওই প্রাক্তন শিক্ষকের ডার্ক ওয়েবসাইট রয়েছে। সেখানে মূলত শিশুদের যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত ছবি, ভিডিয়ো থাকে। তার বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ১৩ বছরের একটি শিশুকে যৌন অত্যাচার করা। 

প্রায় ৫ বছর ধরে এই কীর্তি করছিল ওই শিক্ষক। বেশিরভাগই ভারতের কিশোরদের দিকে নজর ছিল তার। একটা সময় নেপালে শিক্ষকতা করতেন তিনি। ২০২২ সালে লন্ডনে ফিরে এসে একটি প্রাথমিক স্কুলের ডেপুটি হেড টিচারের পোস্টে যোগ দেন। 

শিক্ষকের একাধিক চ্যাটে দেখা গিয়েছে তিনি বলছেন কিশোরদের সঙ্গে যুবকদের যৌনতায় মাততে। সেই ছবি ও ভিডিয়ো দিতে বলতেন তিনি। এমনকী কীভাবে কী করতে হবে সেই সম্পর্কে তিনি নানা পরামর্শও দিতেন। একেবারে ভয়াবহ অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। 

তদন্তে নেমে পুলিশ সব মিলিয়ে শিশুদের যৌন হেনস্থার ১২০,০০০টি অশালীন ছবি পেয়েছে। সেগুলিকে একটি ল্যাপটপে সেভ করে রেখেছিল স্মিথ। এছাড়াও তার ফোনেও প্রচুর এই ধরনের ছবি রয়েছে। 

মাই লন্ডনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ন্যাশানাল ক্রাইম এজেন্সির সিনিয়র অফিসার হেলেন ডোর জানিয়েছেন,শেষ পর্যন্ত আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি স্মিথ যুবকদের নির্দেশ দিতেন যাতে তারা কম বয়সিদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়। তাদের নানা পরামর্শও দিতেন স্মিথ। এমনকী আর্থিক পুরষ্কারও দিতেন। তিনি নেপালের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। এরপর লন্ডনের একটি স্কুলে চলে আসেন। কিন্তু যে দায়িত্ব তার উপর দেওয়া হয়েছিল তার চরম অমর্যাদা করেছেন তিনি। 

সূত্রের খবর. নিজের যৌন তৃপ্তি মেটাতে তিনি অন্যদের মাধ্যমে ভারতের কমবয়সিদের মধ্যে এই যৌন অত্যাচার করার জন্য পুরস্কারের টোপ দিতেন। তাকে আপাতত দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।