স্নেহাশিস রায়
মলদ্বীপে চিনের এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মলদ্বীপে বেড়াতে যেতে খুব ভালোবাসতেন ওই মহিলা। একটি বিলাসবহুল হোটেলে ছিলেন তিনি। সেখানকার রিসর্টের কর্মী তাকে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ। তিনি টুইটারে একথা শেয়ারও করেছেন।
ওই মহিলা কিছু ছবি শেয়ার করে দেখিয়েছেন, তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গা ছড়ে গিয়েছে। শরীরের কিছু অংশের চামড়া কালো হয়ে গিয়েছে। তাঁকে যখন ধর্ষণ করা হয়েছিল তখনই এই ঘটনা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। তবে হিন্দুস্তান টাইমস ও হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
ওই মহিলা দাবি করেছেন তিনি আসলে অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা। হোটেল থেকে এক কর্মীকে তাঁর জন্য নিয়োজিত করা হয়েছিল। তিনি আরও কয়েকদিন ওখানে থেকে যেতে চাইছিলেন। ওই স্টাফ নানাভাবে তাঁকে সহায়তা করছিলেন। তিনি ফোনটা ভেঙে ফেলেছিলেন। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। তখন ওই ব্যক্তিই তাকে ফোন করতে সহায়তা করেন।
এরপর ওই কর্মী বিছানায় বসে পড়েন। তিনি নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছিলেন। সেই সময় ওই মহিলা লক্ষ্য করেন যে হোটেলের ওই স্টাফ তাঁকে ভালো করে দেখছে। কিছুক্ষণ পরে ওই ব্যক্তি হোটেলের ঘর ছেড়ে চলে যান। আবার ফিরে এসে দেখান যে মহিলার মা একটি টেক্সট লিখে পাঠিয়েছেন। এরপর ওই যুবক আবার গল্প করতে শুরু করে দেন। এদিকে ক্রমেই এগিয়ে আসছিল ওই যুবক। এরপর চিনের ওই মহিলা কম্পিউটারে লিখে অনুবাদ করে জানান তিনি এটা চাইছেন না । কিন্তু তারপরেও থামেননি ওই যুবক।
মহিলার দাবি, যুবক বলেছিলেন কিছু ভাববেন না। এরপর আমার মুখ স্পর্শ করে সে। জোর করে আমার মুখে ওর জিহ্বাটা….
এরপর বিছানায় জোর করে চেপে ধরে সে। এরপর তাকে যৌন হেনস্থা করা হয়। দাবি মহিলার। পরে কোনওরকমে হাত ছাড়িয়ে তিনি কম্বলে নিজেকে জড়িয়ে বেরিয়ে অন্যান্য স্টাফদের বিষয়টি জানান। কিন্তু সিনিয়র স্টাফ তাকে জানিয়েছিল, ব্যাপারটা চেপে যান। পরে তিনি পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান।
এরপরই হোটেল কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়ে দেয়, আপনি হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। কারণ গোটা বিষয়টি এখন পুলিশ আর হোটেল স্টাফের মধ্য়ে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তাঁকে আর হোটেলে রাখতে চায়নি কর্তৃপক্ষ। তার জন্য কিছু ব্যবস্থাও করা হয়নি বলে অভিযোগ।