All Party Meet on Manipur Violence: মণিপুর হিংসা নিয়ে সর্বদল বৈঠকের ডাক অমিত শাহের, ‘দেরি হয়ে গেল’, বলল কংগ্রেস

মে মাসে শুরু হওয়া হিংসার রেশ এখনও কাটেনি মণিপুরে। এখনও ধারাবাহিক ভাবে বাড়িঘর পুড়ছে। সাধারণ মানুষ মরছে। জাতিগত হিংসা যেন গৃহযুদ্ধের আকার ধারণ করেছে সেরাজ্যে। এই আবহে মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠকের ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই মণিপুরে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে মহিলা, শিশুও রয়েছে বহু। এদিকে অস্ত্রধারী কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই চলছে জায়গায় জায়গায়। এই আবহে অবশেষে অমিত শাহ সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন এই বিষয়ে। জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠকে বসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেদিন সাউথ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসেই ৩টে নাগাদ বৈঠকটি হবে। মণিপুরে কীভাবে শান্তি ফেরানো যায়, তা নিয়েই আলোচনা করা হবে। যদিও বৈঠক নিয়ে কংগ্রেস বলছে, ‘বড্ড দেরি হয়ে গেল।’ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল দাবি করেন, সোনিয়া গান্ধী মণিপুর নিয়ে সরব হওয়ার পরই ঘুম ভেঙেছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এর আগে বিরোধীরা কেন্দ্রকে মণিপুর নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। এদিকে মণিপুরেরও ৯ জন বিধায়ক মোদীকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করেছিলেন। এই আবহে অবশেষে বৈঠক ডাকছেন শাহ।

উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে কুকি ‘জঙ্গিরা’ অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরই মধ্যে কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে সেই রাজ্যে।

প্রসঙ্গত, ইম্ফল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মৈতৈ জনজাতি। তবে তারা সম্প্রতি দাবি তুলেছে যে তাদের তফসিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। তাদের এই দাবির বিরোধ জানিয়েছে স্থানীয় আদিবাসীরা। এই আবহে গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল। সেই মিছিল ঘিরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে চূড়াচাঁদপুর জেলায়। এদিকে তফশিলি উপজাতির ইস্যুর পাশাপাশি সংরক্ষিত জমি এবং সার্ভে নিয়েও উত্তাপ ছড়িয়েছে। এই আবহে গত এপ্রিল মাসে এই চূড়াচাঁদপুর জেলাতেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সভাস্থলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের সদস্যরা। এদিকে এই জেলা থেকে আদিবাসী বনাম মৈতৈদের এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য জেলাতেও।