Biden slams Jinping: মোদী সাক্ষাতের আগে জিনপিংকে আক্রমণ বাইডেনের, বড় দাবি চিনা অর্থনীতি নিয়েও

আজ প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের দ্বিতীয় দিন। ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটনে পৌঁছে গিয়েছেন মোদী। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আক্রমণ শানালেন বাইডেন। এদিকে জিনপিংকে আক্রমণ করা ছাড়াও বাইডেন বলেন, ‘চিন এখনও গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।’ এদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চিন। উল্লেখ্য, মোদীর মার্কিন সফরের আগেই বেজিংয়ে গিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন। সেখানে তিনি চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করে দুই দশের মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে এরই মাঝে এবার চিনকে আক্রমণ শানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং।

এদিকে বাইডেনের এই আক্রমণেপ পরিপ্রেক্ষিতে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই মন্তব্য খুবই অযৌক্তিক এবং এটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়।’ প্রসঙ্গত, তাইওয়ান ইস্যুতে বারবারই সম্পর্ক বিগড়েছে চিন এবং আমেরিকার। তবে সাম্প্রতিক বেজিং সফরে গিয়ে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট বলেন, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা সমর্থন করে না আমেরিকা।’ তিনি আরও জানিয়ে দেন, ওয়াশিংটন এখনও ‘এক চিন’ নীতিতে বিশ্বাস করে। তাঁর এই মন্তব্য চিন ও আমেরিকার সম্পর্কের ক্ষতে কিছুটে প্রলেপ দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে বাইডেনের এহেন মন্তব্যে বরফ গলার প্রক্রিয়া ফের থমকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ওয়াশিংটনের উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার আগে মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে চিনকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও। মার্কিন সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, ‘চিনের সাথে স্বাভাবিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত। আইনের শাসন পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। মতবিরোধ থাকতেই পারে। তবে তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করা উচিত। এটাই আমাদের মূল বিশ্বাস।’ একই সময়ে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে মোদী বলেন, ‘ভারত নিজের সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ মোদীর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া চেয়েছিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিষয়ে কিছু বলেনি চিন।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে ভারত ও আমেরিকা ক্রমেই ‘ভালো বন্ধু’ হয়ে উঠেছে। এর অন্যতম কারণ হল চিন। দুই দেশেরই সম্পর্ক চিনের সঙ্গে খুব একটা ভালো নয়। চিনের দাদাগিরি রুখতে আমেরিকা যে ভারতের দিকে তাকিয়ে, তা বলাই বাহুল্য। এর জন্যই চিনের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত। কোয়ড নামক এই জোট কৌশলগত হলেও একসঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় এই চার দেশ। এদিকে লাদাখ সহ সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় চিনা আগ্রাসন নিয়ে বারবার ভারতেরই পক্ষ নিয়ে ওয়াশিংটন। ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার পক্ষে সওয়াল করেছে আমেরিকা। এই সবের মাঝেই এবার মোদী সাক্ষাতের আগে জিনপিংকে আক্রমণ বাইডেনের।