Crypto currency fraud: ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে ৬৯ লক্ষ টাকার প্রতারণা, উঠে আসছে চিন যোগ

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে প্রতারণা ইদানিং বাড়ছে। সম্প্রতি বহু মানুষ বেশি হারে টাকা পাওয়ার আশায় ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।এরকমভাবেই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে কয়েক লক্ষ টাকা খুইয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় উঠে আসছে চিনের যোগসূত্র। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, চিনা প্রতারকদের সাহায্যে এই প্রতারণা করা হয়েছিল। মূলত বহুগুনে টাকা ফেরত পাওয়ার আশ্বাস দিয়ে চলত প্রতারণা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬৯ লক্ষ টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন খিদিরপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। ২০২২ সালে টেলিগ্রাম মারফত এক গ্রুপের কয়জন যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় খিদিরপুরের ওই বাসিন্দার। সেখানে তারা ওই ব্যক্তিকে আশ্বাস দেন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করলে চড়া হারে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। সেই আশ্বাস পেয়ে। ওই ব্যক্তি দফায় দফায় কয়েক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ে টাকা না খেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। শেষে এক প্রতারকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা একটি ভুয়ো ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করতে বলে। সেই মতো ওই ব্যক্তি ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করেন। সেখানে আরও বেশ কিছু টাকা চাওয়া হয়। সেইমতো তিনি ফের টাকা দেন। কিন্তু তারপরে টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন। এর পরে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। ঘটনার তদন্ত নেমে লালবাজারের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, টেলিগ্রাম গ্রুপটি চিনের আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। তাছাড়া ওই গ্রুপে যারা রয়েছেন তাদের অধিকাংশের প্রোফাইল চিনের। এমনকী যে টাকা নেওয়া হয়েছিল তার বেশিরভাগ ওয়ালেটে চিনের। ভারতীয় প্রতারকদের সাহায্যে এই প্রতারণা চালানো হতো বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই ঘটনা তদন্ত নেমে পুলিশ ভারতের এক প্রতারকের হদিস পায়।

পরে দিল্লি থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন লালবাজার গোয়েন্দারা। ধৃতের নাম কলিম আহমেদ। উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। তাকে গ্রেফতারের পর কলকাতা এনে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ভারতীয় প্রতারকের যোগ রয়েছে। কলিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই সমস্ত প্রতারকদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। এছাড়া আরও কতজনের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে? প্রতারণার টাকা কিভাবে চিনে পৌঁছত বা কীভাবে প্রতারকদের সঙ্গে তার পরিচয়? সেই সমস্ত তথ্য ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।