তৃতীয় দিনে পড়ল প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন সফর। তারই মধ্যে এদিন হোয়াইট হাউসে রাজকীয় সমারোহে ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁকে সাদরে অভর্যর্থনা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে চলে বৈঠক। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর হোয়াইট হাউসে যৌথ বিবৃতি দেন জো বাইডেন ও নরেন্দ্র মোদী। ৯ বছর পর কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন যৌথ বিবৃতি দিলেন হোয়াইট হাউসের ইস্ট হল-এ। ওই বিবৃতিতে উঠে এল রাশিয়া সমেত একাধিক প্রসঙ্গ।
হোটাইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘ মার্কিন ও ভারতের সম্পর্কের ইতিহাসে আজকের দিনটি একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।’ এরপরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ আজকের আলোচনায় ও যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আজ নেওয়া হয়েছে, তাতে এক নতুন অধ্যায় শুরু হল, যা আমাদের ব্যাপক বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের দিকে প্রযোজ্য।’ ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে ‘শক্তিশালী, ঘনিষ্ঠ ও গতিশীল’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যৌথ বিবৃতিতে মোদী বলেন, ‘গণতন্ত্র ভারতের শিরায় শিরায় রয়েছে’। মোদী বলেন, ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ড’ এর ক্ষেত্রে যৌথ ভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথে সমোঝাত হয়েছে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তিনি জানান, ইন্দোপেসিফিকে শান্তি রক্ষা নিয়ে যেমন আলোচনা হয়েছে, তেমনই বিশ্ব শান্তি নিয়েও আলোচনা উঠে এসেছে। তা ছাড়াও মোদী বলেন, ‘ গণতন্ত্র আমাদের চেতনায়, আমাদের শিরায়, আমরা গণতন্ত্র বাস করি। আমাদের সরকার সংবিধান মেনে কাজ করে, এবং গণতন্ত্র দিতে পারে,বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, বয়সের উপর কোনও বৈষম্য নযেই ভারতে, ভারত গণতন্ত্রের শ্বাস নেয় তাই বৈষম্যের প্রশ্নই আসে না।’ মোদীকে প্রশ্ন করা হয় মানবাধিকার নিয়ে। ভারতের মানবাধিকার ইস্যুতে মোদী বলেন,’মানবাধিকার না থাকলে গণতন্ত্র থাকে না। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ’। ভারতের গণতন্ত্র প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘আমরা একটি গণতন্ত্র…ভারত এবং আমেরিকা উভয়েরই আমাদের ডিএনএতে গণতন্ত্র রয়েছে।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ এই কারণেই ভারত সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস নিয়ে এগিয়ে বিশ্বাস করে।’
এছাড়াও যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্যানসারের চিকিৎসা থেকে মহাকা বিজ্ঞানের গবেষণা সংক্রান্ত নানানন বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। এছাড়াও সমঝোতায় বলা হয়েছে যে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো বিষয় যাতে কোনও মতেই দুর্ব্যবহার না হয়, সেই দিকে নজর রাখতে হবে। এছাড়াও ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক স্পেশ স্টেশনে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পাঠানো সমেত একাধিক বিষয় যৌথ বিবৃতিতে উঠে আসে।