Titan Rescue Mission: ৮০ ঘণ্টা পরে ধাক্কার শব্দ এল জলের তলা থেকে? টাইটনের যাত্রীদের কোনও খবর এল না

অদ্ভুত ছোট্ট একটা ঘর। না আছে কোনও খাবার, না আছে খাবার জল। পা ছড়ানোর জায়গাও নেই। বাথরুম আছে একটা। সেখানেও যেতে হয় অতি কষ্টে। সেখানে চার জন যাত্রী আর এক জন চালক। মোট পাঁচ জনের জায়গা। একানেই কাটানোর কথা ৮ ঘণ্টা। সেই মতো হিসাব করেই জলে ঝাঁপ দিয়েছিল টাইটন নামের সাবমেরিন। ৮ ঘণ্টার জায়গায় ৮০ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। কল্পনা করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই পাঁচ জনের এখন কী হাল।

অথচ শুরুটা মোটেই এমন হয়নি। টাইটনিক জাহাজের দর্শন করার জন্য যখন এই সাবমেরিন জলে ডুব দেয়, তখন সকলেই ছিলেন বিরাট উত্তেজিত। হালে চাইটনের জলে ডুব দেওয়ার একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই আনন্দের মুহূর্ত বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

ডলে ডুব দেওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই এই ডুবজাহাজের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় অন্যদের। তার পর থেকেই এটি সন্ধান চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। কিন্তু ৮০ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি এই যানের।

(আরও পড়ুন: শেষের পথে অক্সিজেন! আটলান্টিকের অতলে টাইটানিক দেখতে গিয়ে নিখোঁজ ডুবোজাহাজ, ছিলেন কারা?)

কেন খোঁজা কঠিন হয়ে গিয়েছে? উদ্ধারকারী দল সন্ধান চালাচ্ছে এমন সম্ভাবনাময় জায়গায়, যেখানে থাকতে পারে টাইটন। কিন্তু সেই জায়গাটির আয়তনও নেহাত কম নয়। আন্দাজ ছোটখাটো একটি শহর ঢুকে যেতে পারবে তার মধ্যে। ফলে সেখানে খোন খাঁজে লুকিয়ে রয়েছে এই যান, তা খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে গিয়েছে।

এরই মধ্যে অবশ্য ভাইরাল হয়ে গিয়েছে অন্য একটি পোস্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই একটি অডিয়ো রেকর্ডিং পোস্ট করেছেন। সেই রেকর্ডিংটি সম্পর্কে দাবি করা হয়েছে, এটি নাকি জলের ভিতর থেকে এসেছে এবং সেটি উদ্ধারকারীদের যন্ত্রে ধরা পড়েছে। সেই অডিয়োয় শোনা গিয়েছে, ধাক্কার আওয়াজ। কিছু ক্ষণ পরে পরে এই আওয়াজটি এসেছে। কারও কারও দাবি, এটি টাইটনে আটকে পরা আভিযাত্রীদের কারও আওয়াজ। যদিও এই সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।

এর আগে টাইটনের মধ্যে বসে জলের চলায় পাড়ি দিয়েছেন ওইসিন ফ্যানিং নামের একজন। তিনি জানিয়েছেন, এই যানটির ভিতরটি এতটাই ছোট, সেখানে হাত-পা ছড়িয়ে বসা পর্যন্ত যায় না। বাথরুম আছে বটে। তবে সেখানে যাওয়াও কষ্টসাধ্য। এই জানে কোনও জানলা নেই। কয়েকটি পটহোল আছে। তার মধ্যে দিয়েই বাইরেটা দেখা যায়। এরকম একটা ছোট পরিসরের মধ্যে কী করে অভিযাত্রীরা কী করে প্রাণের জন্য লড়াই চালাবেন, তা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে অনেকেই।