Biden on India after Obama’s Comment: ভারতে ‘সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা’র বার্তা ওবামার, এই নিয়ে কী বলছেন বাইডেন?

নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফরকালে ভারতের সংখ্যালঘুদের অধিকার ইস্যুতে অনেক বড় বড় মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মার্কিন সংবাদমাধ্য সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারত নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ওবামা। তিনি বলেন, ‘যদি ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য জাতিদের মানবাধিকার রক্ষা না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ভারত ভাগ হয়ে যেতে পারে।’ এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই মোদীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে যৌথ বিবৃতি দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সেই সময় তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি নাগরিকের মর্যাদা এবং অধিকার রক্ষা করার ওপর বিশ্বাস করি। এটি আমেরিকার ডিএনএ-তে রয়েছে এবং আমি বিশ্বাস করি, এটা ভারতের ডিএনএ-তেও রয়েছে। তাই আমাদের সাফল্যে পুরো বিশ্বের ভূমিকা রয়েছে।’ (আরও পড়ুন: ১৮-২৯ বছর বয়সি ৫৯% মার্কিনি কখনও নামই শোনেননি মোদীর, দাবি সমীক্ষায়)

উল্লেখ্য, কতকটা ওবামার সময়কাল থেকেই ভারতের ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছিল ভারত। সেই সময় তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন। আজ সেই বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তাঁর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে মার্কিন মুলুকে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। আর এরই মাঝে ভারতে ‘ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা’ নিয়ে সরব হন ওবামা। তিনি বলেন, ‘যদি ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য জাতিদের মানবাধিকার রক্ষা না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ভারত ভাগ হয়ে যেতে পারে।’ পাশাপাশি ওবামার আরও মত, বাইডেন প্রশাসনের উচিত ভারত সরকারের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের অধিকারের ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা।

ওবামা বলেন, ‘যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বৈঠকে বসেন, তাহলে ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘুদের অবস্থানের বিষয়টি উত্থাপিত করা উচিত বাইডেনের। আমি মোদীকে নিজে চিনি। আমি যদি এই পরিস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতাম তাহলে আমি তাঁকে বলতাম, আপনি যদি সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা না করেন, তাহলে ভারতের টুকরো টুকরে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।’ প্রসঙ্গত, ডেমোক্র্যাটিক দলের অন্দরে বাইডেনের অন্যতম বড় সমর্থক হলেন ওবামা।

এর আগে ৭৫ জন ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতা বাইডেনকে চিঠি লিখেছিলেন। ভারতের সংখ্যালঘুদের ইস্যুটি মোদীর সামনে উত্থাপিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। তবে হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছিল, ভারতকে গণতন্ত্র নিয়ে ‘জ্ঞান’ দেবে না ভারত। এদিকে বাইডেনের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর তরফে বলা হয়েছে, ‘গণতন্ত্র আমাদের চেতনায়, আমাদের শিরায়। আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। আমাদের সরকার সংবিধান মেনে কাজ করে। বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, বয়সের ভিত্তিতে কোনও বৈষম্য ভারতে। ভারত গণতন্ত্রের শ্বাস নেয় তাই বৈষম্যের প্রশ্নই আসে না।’