Delimitation Draft: অসমে নির্বাচন কমিশনের আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়ার বিরুদ্ধে কেন ফুঁসছে বরাক উপত্যকা? সত্যিটা জানুন

বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ

ভারতের নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার অসমের ১২৬টি বিধানসভা আসনের ও ১৪টি লোকসভা আসন প্রস্তাবিত খসড়া পুনর্বিন্যাসের তালিকা প্রকাশ করেছে। আর এই খসড়া তালিকা দেখে বরাক উপত্য়কার বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে ক্রমশ।

খসড়া তালিকায় দেখা যাচ্ছে বরাক উপত্য়কা, কাছার, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে ২০১২ সাল পর্যন্ত ১৫টি বিধানসভা আসন ছিল। আর বর্তমানে সেটা কমিয়ে করে দেওয়া হয়েছে ১৩টি। নতুন তালিকায় একাধিক আসনের নামও বদলে ফেলা হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির একাংশও আপত্তি তুলেছেন। এছাড়াও কংগ্রেস, বিজেপি, বামেরা এনিয়ে আপত্তি তুলেছেন। অসমের মন্ত্রী পরিমল শুক্লাবৈদ্য ধোলাই বিধানসভার বিধায়ক। তাঁর দাবি, আমার বিধানসভা আসনের নাম বদলে নরসিংহপুর করে দিয়েছে যদি এই তালিকা একই থাকে। তিনি বলেন, আমি এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বললাম। কেউই এনিয়ে খুশি নয়। আমারও আপত্তি রয়েছে। আমরা রাজ্য সরকারকে বিষয়টি জানাব।

তবে শিলচরের ফরেনার্স ট্রাইবুনালের প্রাক্তন সদস্য ধর্মানন্দ দেব জানিয়েছেন, কমিশন ২০০১ সালের জনগণনার হিসেবটা ব্যবহার করেছে। তবে ২০০১ সালে জনসংখ্যা ছিল ২.৬৬ কোটি। ২০ বছরে তা বেড়েছে। ১৯৭৬ সালের আসন পুনর্বিন্যাস অনুসারে বরাক উপত্যকায় ১৪টি আসন ছিল। সেটা পরে বেড়ে গিয়ে ১৫টি হয়। চার দশক পরে কমিশন আসন কমিয়ে দিয়েছে এটা অবৈজ্ঞানিক। এতে রাজ্য বিধানসভায় জনপ্রতিনিধিত্ব কমবে। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে ভালো নয়।

এদিকে শিলচর লোকসভা আসনকে এসসি সংরক্ষিত করা হয়েছে। আর করিমগঞ্জ যেটা বরাবর এসসি ছিল সেটা সকলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যসভার এপপি সুস্মিতা দেব বলেন, বিজেপি ২০০৮ সালের আসন পুনর্বিন্যাসের বিরোধিতা করেছিল। কারণ তারা বলেছিল এনআরসি ছাড়া আমরা মানব না। আর এখন সাপোর্ট করছে। নিজের বিধানসভা ক্ষেত্র মুছে যাচ্ছে বলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেছিলেন তা মিথ্য়ে।

এদিকে বরাক ডেমেক্র্যাটিক পার্টি এবার কমিশনের এই তালিকার বিরুদ্ধে তিন জেলায় বনধ ডাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির কাছার ইউনিটও এনিয়ে মিটিংয়ে বসেছিল। সেখানে অনেকেই তালিকা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। শিলচর এমপি প্রদীপ রায় বলেন, আমরা দলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে থাকব। কিন্তু আমাদের মতামতটাও জানাব।

অসমে কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন, এটা বরাক উপত্যকার মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই খসড়া তালিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নেটিজেনরা।