Opposition meet update: ২০২৪-এ বিজেপি ক্ষমতায় এলে লোক বলছে ভোটই হবে না! পাটনায় বৈঠকের পর বললেন মমতা

পাটনায় বিরোধী দলগুলির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনে জিতে যদি ফের বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে তবে আর ভোটই হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তিনি।

(পড়তে পারেন। Mission 2024, Opposition meet update: বাংলায় ঠোকাঠুকি, পাটনায় জোটের মিটিংয়ে একসারিতে মমতা-রাহুল, ‘আদর্শের জন্য এসেছি)

বিজেপি সরকারকে ‘তানাশাহি সরকার’ (স্বৈরতান্ত্রিক সরকার) বলে মন্তব্য করে মমতা বলেন,’একাধিক কালা কানুন (জনস্বার্থ বিরোধী আইন) এনেছে বিজেপি সরকার। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখব। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে লড়াই করব। না হলে ভারত ভারত থাকবে না।’ এর পর আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন,’কেউ কেউ বলছেন, এই সরকার যদি ২০২৪-এ ফের ক্ষমতায় আসে তবে আর কোনও দিন ভোট হবে না।’

এ দিন রাজভবনে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন,’ নির্বাচিত সরকারকে কোনও গুরুত্ব না দিয়ে রাজভবন থেকে বিকল্প সরকার চলানো হচ্ছে। আমাদের না জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন হল।’

তিনি সরব হন আদালতে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা নিয়েও। মমতা বলেন,’ বিজেপি একগুচ্ছ আইনজীবী আদালতে পাঠিয়ে মামলা করছে। তার পর ইডি, সিবিআই দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের হাতে কাজ নেই।  ১০০ দিনের টাকা বন্ধ। মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। এ সব নিয়ে চিন্তা নেই বিজেপির।’ এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দেন তিনি। তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘পটনা থেকে সেই ঐতিহাসিক লড়াইয়ের শুরু হল। ’ আগামী ১২ জুলাই হিমাচলের সিমলাতে পরবর্তী বৈঠক রয়েছে। 

পাটনায় ১৭টি বিজেজি বিরোধী দলের এই বৈঠককে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই এই বৈকঠকে বিরোধীদের ‘ফটোসেশন’ বলে  মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বৈঠককে ‘চোরেদের সিন্ডিকেট বৈঠক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন,’পাটনায় চোরেদের সিন্ডিকেট বৈঠক বসেছে। দুর্নীতি থেকে নিজেদের বাঁচাতে বৈঠক করছে বিরোধীরা।’

পটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার বিকালে তাঁরা পাটনায় পৌঁছন। সেখানে পৌঁছেই মমতা লালুপ্রাদের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। পরে রাতে দেখা করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে। উল্লেখযোগ্য ভাবে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাজনৈতিক সম্পর্কের সাময়িক শৈত্যতা কাটিয়ে এদিন কংগ্রেস নেতার মুখোমুখি হন মমতা।