Titan Recue Mission: বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন শাহজাদা, টাইটনে শেষরক্ষা হল না

ইতিমধ্যে খবরের শিরোনামে সাব টাইটান ডুবোজাহাজের নিখোঁজের ঘটনা। এই সাবমেরিনেই অন্য চার অভিযাত্রীর সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা। আপাতত সপুত্র নিখোঁজ শাহজাদা এর আগেও এক ভয়ানক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। প্রকাশ্যে এল এই তথ্য। টাইটান সাবমার্সিবলের ওশানগেট এক্সপিডিশনের সিইও স্টকটন রাস, ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং, ফরাসি ডুবুরি পল হেনরি নারজিওলেট এবং পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তার ছেলে সুলেমান প্রমুখরা ছিলেন, যাঁদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে সুবিশাল আটলান্টিক মহাসাগরের বুক থেকে। 

এই পরিস্থিতিতেই প্রকাশ্যে এসেছে শাহজাদা এর আগেও একটি ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে সেই দুর্ঘটনায় পাকিস্তানি ব্যবসায়ীর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ক্রিস্টিন দাউদ। সেই ঘটনার উল্লেখ সহ একটি ব্লগ এখনও  ভাইরাল হয়েছে নেট নাগরিকদের মধ্যে। 

এপ্রসঙ্গে স্মৃতিচারণ করে গিয়ে ক্রিস্টিন বলেন, ‘সেই দুর্ঘটনা সব কিছু বদলে দিয়েছে।  আমাকে এখন যে পথে আছি সেই পথে নিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।’ তিনি বলেন, আমি কেন এবং কীভাবে একজন মনোবিজ্ঞানী এবং প্রশিক্ষক হয়ে উঠেছি, তা অনেকেই জানেন না। এই ঘটনা অবশ্যই ব্যক্তিগত, অস্বস্তিকর এবং অস্বাভাবিক এক ঘটনা, কিন্তু আমি টানেলের শেষে আলো দেখতে পাচ্ছিলাম সেদিন।’ ক্রিস্টিন জানান, যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন তারা নিরাপদে অবতরণ করলে তিনি আর কখনও সিগারেট স্পর্শ করবেন না। 

‘তখন অন্ধকার হয়ে এসেছিল। আমাদের চারপাশটায় যেন ঝড় উঠেছিল আর মেঘ জমছিল, কেবিনে এক অদ্ভুত ধরনের অন্ধকার নেমে আসে। এই ঘটনা আজও তাড়া করে বেড়ায় আমাদের’ এমনই জানান ক্রিস্টিন। তিনি আরও বলেন, ‘সেসময়ে আমরা একবার বাম দিকে একবার ডানদিকে হেলে যাচ্ছিলাম। আমার মাথা জানলায় ধাক্কা খাচ্ছিল। এক সময় ক্যাপ্টেন আমাদের বলেন, যে তিনি ভিন্ন কোণ থেকে অবতরণেরভচেষ্টা করছেন। হঠাৎ ইঞ্জিন গর্জে উঠল এবং আমরা আবার উড়তে থাকলাম।’ ২০১৯ সালেই সেই যাত্রায় রক্ষা পাওয়া গেছিল ঠিকই। কিন্তু বাস্তব বলছে এবার মহাসাগরীয় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ নয়।