Biden on India in UN Security Council: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্য পদের জন্য ফের সওয়াল বাইডেনের

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী পদের সমর্থনে ফের একবার সওয়াল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উল্লেখ্য, সদ্য আমেরিকায় পা রেখেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় বিশ্ব কূটনীতিকে চমক দিয়ে উঠে আসে একের পর এক ভারত-মার্কিন প্রকল্পের তথ্য। উঠে আসে দুই দেশের নিবিড় সম্পর্ক ঘিরে নানা দিক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ‘নিউক্লিয়ার্স সাপ্লায়ার্স গ্রুপে’ ভারতের সদস্যপদের পক্ষে সায় দিয়েছে। এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যাতে ভারত স্থায়ী পদে আসতে পারে, তার জন্যও বাইডেন প্রশাসন জোরদার সওয়াল করেছে আরও একবার। রাষ্ট্রসংঘের ব্যবস্থাপনায় ভারতের উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ২০২৮-২০২৯ সাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে থাকছে ভারত। সেই ঘটনাকে সাদরে গ্রহণ করেছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসাবে যাতে ভারত আসতে পারে, তার জন্য এবার সমর্থন এল মার্কিন প্রশাসনের থেকে। ভারত ও মার্কিন যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশই নিশ্চিত করেছে, বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে যাতে কোনওভাবে একতরফা দিক থেকে বিঘ্নিত করার সব প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করা হবে। দুই দেশই বহুপাক্ষিক বন্দোবস্তকে আরও শক্তিশালী করার কথা বলেছে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ রাষ্ট্রসংঘের সংস্কারধর্মী অ্যাজেন্ডায় দুই পক্ষই সমান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। যার মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্ষেত্রে সদস্যপদের বিষয়ে বিস্তারের বিষয়টিও রয়েছে।’ যৌথ বিবৃতি বলছে, ‘ বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রতিনিধিত্বমূলক হওয়া উচিত, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ফের একবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী পদের পক্ষে মার্কিন সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।’

এই বিবৃতিতেই বলা হয়েছে,’ এই প্রসঙ্গে, রাষ্ট্রপতি বাইডেন ২০২৮-২৯ মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের-এর অস্থায়ী সদস্য হিসাবে ভারতের  সদস্যপদকে স্বাগত জানিয়েছেন।’ এক্ষেত্রে, নিরাপত্তা পরিষদের নিরিকে সরকার থেকে সরকারে গঠনমূলক আলোচনা, রাষ্ট্রসংঘের ব্যবস্থাপনা, এবং নিরাপত্তা পরিষদকে আরও কার্যকরি, প্রতিনিধিত্বমূলক, নির্ভরযোগ্য করার ক্ষেত্রে ভারতের অবদানেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছে ওয়াশিংটন। এছাড়াও পরমাণু শক্তিকে , শক্তি স্থানান্তর, আবহাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো নিয়েও উদ্যোগের বিস্তারিত বার্তা দিয়েছে এই যৌথ বিবৃতি। ভারতে ছয়টি পরমাণু রিয়্যাক্টর গঠনে ভারতের এনপিসিআইএল ও আমেরিকার ডাব্লিউ ইসির সংঘবদ্ধ করা ঘিরে আলোচনাও নজরে রেখেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা।