TMC on Manipur at All party meet: মানুষকে ‘উপেক্ষা’, মণিপুরকে কি কাশ্মীর বানাতে চাওয়া হচ্ছে? শাহি বৈঠকে প্রশ্ন তৃণমূলের

গত ৫০ দিন ধরে মণিপুর জ্বলেছে হিংসার আগুনে। জাতিগত বিভেদ ঘিরে একাধিক দাবি দাওয়ার প্রেক্ষাপটে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য গত কয়েক সপ্তাহে দেখেছে ভয়ানক হিংসা। সেই অশান্ত মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে ২৪ জুন দিল্লিতে হাইভোল্টেজ বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকে যোগ দিয়ে মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিনের বৈঠকে, মণিপুরে সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকের দাবিতে সোচ্চার হয় তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যান্য দলগুলির সঙ্গে তৃণমূলও এই দাবিতে সোচ্চার হয়। জানা গিয়েছে, মণিপুরে সব দলের প্রতিনিধি পাঠানোর দাবিতে সরব হতে থাকে তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকে। সেই সুরে গলা মিলিয়ে সরব হয় তৃণমূল। তৃণমূল সমেত একাধিক বিরোধী দল এদিনের বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেস, আপ, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর সদস্য। উপস্থিত ছিলেন আরজেডি, ছিল বিজেডি, ডিএমকে সমেত একাধিক বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা। সেখানেই কার্যত একাকাট্টা বিরোধী গোষ্ঠী দাবি করে যে, মণিপুরের প্রশাসনিক প্রধানের পদ থেকে সরানো হোক এন বীরেন সিংকে। এদিকে, এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা অমিত শাহ, সকলকে অনুরোধ করেন বীরেন সিংয়ের ওপর আস্থা রাখতে। 

এদিকে, মেইতেই ও কুকি উপজাতির সংঘাত ঘিরে অশান্ত মণিপুর। এর আগে, সেখানে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সফর করার পরও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। এরপর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সর্বদলীয় বৈঠকের দাবিতে সরব হয় বিরোধীরা। এরপরই এই বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে দিল্লিতে।

সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূলের তরফে উপস্থিত থেকে সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান একাধিক প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেছেন, শাহের মণিপুর সফরের ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। বৈঠকে তাঁর প্রশ্ন, ‘মণিপুরকে কি কাশ্মীর করে তুলতে চাওয়া হচ্ছে?’ এছাড়াও তিনি ক্ষোভের সুরে দাবি করেন, মণিপুরে মানুষকে ‘উপেক্ষা’ করা হচ্ছে। ডেরেক বলেছেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যে ভুল হয়েছে, সেই ভুলকে স্বীকার করে সঠিক পথে হাঁটা শুরু করুক কেন্দ্র।’ এদিকে, গোটা পরিস্থিতি নিয়ে অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রশাসন মণিপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টায় ব্রতী। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, খুব শিগগিরিই পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে যাবে। এদিকে, কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইবোবি সিংয়ের দাবি, তিনি ৫ মিনিটের জন্য কথা বলতে চাইলেও, তাঁর কথা শোনা হয়নি। প্রায় সব কয়টি বিরোধী দলই এদিন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে।