Meghalaya High Court: ১৬ বছর বয়সী কেউ নিজের যৌন সঙ্গম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, বার্তা মেঘালয় হাইকোর্টের

এক ১৬ বছর বয়সী কিশোর বা কিশোরী সঙ্গম ঘিরে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এমনই বার্তা উঠে এল মেঘালয় হাইকোর্টের তরফে। ২০১২ পকসো আইনের ৩ ও ৪ নং ধারার প্রসঙ্গ তুলে এই বক্তব্য পেশ করে কোর্ট। উল্লেখ্য, পকসোর ওই ধারাটিতে একজন নাবালিক বা নাবালিকার ওপর যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত অত্যাচার ঘিরে শাস্তিমূলক আইনি বিধি রয়েছে।

 মেঘালয় হাইকোর্টের বিচারপতি ওয়ানলুরা দেইংডোহর সিঙ্গল বেঞ্চে নাবালিকার যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত মামলা নিয়ে একটি পিটিশনের শুনানি হয়। সেই শুনানির সময় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে এফআইআরকে খারিজ করে দেন বিচারপতি। এছাড়াও বিচারপতি ওই অভিযুক্তকে মুক্তির কথা বলেন। 

এই মামলায় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ বলছে, পকসো আইনের আওতায় একাধিক এমন মামলা আসে যেখানে, দুই কিশোর কিশোরী বা নাবালক নাবালিকার পরিবারের এফআইআর করেছে। সেই ক্ষেত্রের অনেক ঘটনাগুলিতে দেখা যায়, দুই জনই একে অপরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ। এই ধরনের মামলায়, যেখানে বাড়ন্ত বয়সের কেউ রয়েছে, বা কিশোর কিশোরীরা রয়েছে, সেখানে পকসো আইনের আওতায় এফআইআর বেশ উদ্বেগের বিষয়। কোর্ট বলছে, বহু ক্ষেত্রেই এই পরিস্থিতিতে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি ঘিরে মামলা বেশ উদ্বেগের সঞ্চার করছে।

 পকসো আইন নিয়ে আদালত তার পর্যবেক্ষণ পেশ করার সময় বলে,’বদলাতে থাকা সমাজিক প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে যোগ্য গতি ধরে রাখতে হবে, প্রয়োজনীয় বদল আইনে আনতে হবে, খুব আলাদা করে বলতে গেলে পকসোর মতো কঠোর আইনের কথা বলতে হয়।’ কোর্টের পর্যবেক্ষণ বলা হয়েছে, ‘কোর্ট বাড়ন্ত বয়সের গোষ্ঠীর সকলের শারীরিক ও মানসিক বিকাশকে নজরে রাখছে। এটিকে কোর্ট যুক্তিযুক্ত মনে করে,  যে, এই বয়সের কেউ স্বেচ্ছায় নিজের ভালোর জন্য নিজের সঙ্গম সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। ’ যে মামলা কোর্টের সামনে পেশ হয়েছিল, সেখানে পকসোর আওতায় যৌন অত্যাচারের ঘটনা ঘটেনি। সেটি যুগলের যুগলের সম্মতিক্রমে ঘটেছে। আর ঘটনার মধ্যে থাকা দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানিয়েছে কোর্ট।