মঙ্গলবার দেশের একেবারে তৃণমূলস্তরে থাকা বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের ১০ লাখ বিজেপি কর্মীর সঙ্গে সংগঠনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করবেন মোদী। একেবারে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্লাস নেবেন মোদী। একেবারে নীচের তলায় কীভাবে বুথকে মজবুত করতে হবে তারই পাঠ দেওয়া হবে। কর্মসূচির নাম মেরা বুথ, সবসে মজবুত। সামনেই পর পর নির্বাচন। কিছুদিনের মধ্য়েই বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এরপর লোকসভা ভোট। তার আগে ঘুঁটি সাজাচ্ছে গেরুয়া শিবির। তবে কীভাবে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে হবে তারই মূল্যবান মতামত দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবারের সেই মহা ইভেন্টের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নীচুতলার বিজেপি কর্মীরা।
ভূপালে মোতিলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে এই অনুষ্ঠান হবে। বাংলা থেকে সব মিলিয়ে ১৬জন বিজেপি কর্মী তাতে অংশ নেবেন।
গেরুয়া শিবিরের অন্দরের মূল মন্ত্রই হল মেরা বুথ সবসে মজবুত। বাংলাতেও এই মন্ত্র প্রয়োগ করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। তবে লোকসভা নির্বাচনে কিছুটা হলেও সাফল্য পায় বিজেপি। কিন্তু পরবর্তী বিধানসভা ক্ষেত্রে লক্ষ্যের ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এবার সামনে পঞ্চায়েত ভোট। মাটি কামড়ে লড়াই করছে বিজেপি। কিন্তু কাজ কতদূর হবে তা নিয়ে সন্দেহটা থেকেই গিয়েছে। তবে সংগঠনকে মজবুত করতে চেষ্টার কোনও কসুর করছে না বিজেপি। কিন্তু নীচুতলায় সংগঠন মজবুত না থাকলে আখেরে ফলাফল ভালো করা কতদূর সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
তবে এবার খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্লাস নেবেন গোটা দেশের বুথের কর্মীদের সঙ্গে। তবে এবার শুধু বাংলার ক্ষেত্রেই নয়, গোটা দেশ জুড়েই বিজেপিকে পরাস্ত করতে একেবারে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমেছে বিরোধী জোট। ইতিমধ্যেই জোটের একটি মিটিং হয়ে গিয়েছে। ফের দ্বিতীয় মিটিংয়ের প্রস্তুতি চলছে। সেই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূল স্তরে সংগঠনকে মজবুত করতে না পারলে আখেরে সমস্যায় পড়বে বিজেপি। কর্ণাটকের মতো ধসে যেতে পারে বিজেপির দুর্গ। আর সেই নিরিখে এবার ময়দানে নামছেন খোদ নরেন্দ্র মোদী।
কীভাবে সংগঠনকে পরিচালনা করা হবে, কীভাবে ইস্যুগুলি সামনে আনতে হবে, কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলিকে সামনে আনতে হবে, কীভাবে মানুষের পাশে থাকতে হবে এসব কথা শোনার জন্য বিজেপির কর্মীরা অপেক্ষা করে আছেন। এটাও যেন মোদীর মন কী বাত। সেটা দলের নীচুতলার কর্মীদের জন্য।