দুদিনের ইজিপ্ট সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী ও ইজিপ্টের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ এল সিসি ভারত-ইজিপ্ট দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য একাধিক চুক্তিতে সই করেন। এই সফরকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন পিএম নরেন্দ্র মোদী।
রবিবারই দুদিনের ইজিপ্ট সফর শেষ করেন মোদী। তিনি টুইট করে লিখেছেন, আমার ইজিপ্ট সফর একটা ঐতিহাসিক সফর। ভারত-ইজিপ্ট সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করবে এই সফর। সেখানকার প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন। ইজিপ্টের মানুষ যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন তাতে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কায়রো থেকে ফিরে তিনি একটি ভিডিয়ো টুইট করেছেন।
সফরের শেষ পর্যায়ে তিনি গিজার পিরামিড দেখতে যান। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাদবৌলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তিনি আমার সঙ্গে পিরামিডে গিয়েছিলেন। আমাদের দেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। সেই সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে ইজিপ্টের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসি। দ্বিপাক্ষিক মিটিংয়ের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি সর্বোচ্চ সম্মান তুলে দেন। তাঁর হাতে তিনি অর্ডার অফ নীল পুরস্কার তুলে দেন। এটা হল ইজিপ্টের সর্বোচ্চ সম্মান। দ্বিপাক্ষিক মিটিংয়ের ঠিক আগে ইজিপ্টের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে এই বিশেষ সম্মান তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সম্মানের জন্য ধন্য়বাদ জানাচ্ছি। আমাদের প্রতি যে ভালোবাসা তাঁরা দেখিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ।
কায়রোতে আল হাকিম মসজিদ দর্শন করতে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেটি ১১ শতকে তৈরি বলে মনে করা হয়। ভারতের দাউদা বোহরি সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় এই মসজিদ তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হয়। মাস তিনেক আগে সেই মসজিদের সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সেই মসজিদ চত্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এই মসজিদে মূলত শুক্রবারের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
হেলিওপলিস কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রিতে তিনি যান। সেখানে ভারতের বীর শহিদদের তিনি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। আসলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইজিপ্ট ও প্যালেস্টাইনে তাঁদের অনেকেই যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছিলেন। সেই মেমোরিয়ালে অন্তত ৪০০০ ভারতীয় সেনার স্মৃতিতে গড়ে তোলা হয়েছে।
মোদীর উপস্থিতিতে একাধিক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে দুই দেশের মধ্য়ে। দুদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে দুজনের মধ্য়ে। সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার ব্যাপারে কতাবার্তা হয়েছে।