Two Crore Cash Thrown: প্রতিবেশীর ছাদে ঝপাঝপ ২ কোটি নগদ ফেলল সরকারি অফিসারের পরিবার! তল্লাশি ঘিরে তুলকালাম

এই ঘটনা ওড়িশার ভুবনেশ্বরের। সেখানে এক সরকারি অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান ওড়িশা ভিজিলেন্স ডিরেক্টোরেটের তদন্তকারী অফিসাররা। তদন্তের জেরে ওই অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু হতেই, অফিসারের পরিবারের সদস্যরা কার্টুন ভর্তি করে নগদ টাকা প্রতিবেশীর ছাদে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে তুলকালাম।

 কার্ডবোর্টের ছয়টি বাক্সে ২ কোটি টাকার নগদ ভরে সেই বক্সগুলি ঝপাঝপ প্রতিবেশীর ছাদে ফেলতে শুরু করেন অভিযুক্ত অফিসার প্রশান্ত কুমার রাউতের পরিবারের সদস্যরা। তবে এই সব কাণ্ড, তদন্তকারী অফিসারদের চোখ এড়ায়নি। মুহূর্তে তাঁরা এইকাণ্ড ধরে ফেলেন। অভিযোগ, অবৈধ উপায়ে আসা নগদ টাকা এভাবে পাশের বাড়িতে পাচার করার চেষ্টা করছিলেন ওই অফিসারের বাড়ির লোকজন। ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছেন ওড়িশা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের অফিসার প্রশান্ত কুমার রাউত। ওড়িশার কাহানবিহারের নবরঙ্গপুরের কালেক্টর পদে বর্তমানে তিনি রয়েছেন। তাঁর সেই নবরঙ্গপুরের বাড়িতেই চলে রাজ্য সরকারের অফিসারদের তল্লাশি। রাউতের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে টাকা আত্মসাৎ করার। এছাড়াও সরকারি ফান্ড থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই অফিসারের বিরুদ্ধে।

তদন্তকারী অফিসাররা বলছেন, ভুবনেশ্বরের নবরঙ্গপুরে প্রশান্ত কুমার রাউতের বাড়ি সেই সময় ঘিরে ফেলা হয়। আগে থেকে কোর্ট অর্ডার ছিল ওই অফিসারের কাছে, যে তাঁর বাড়ি তল্লাশি করতে আসছে ওড়িশা ভিজিলেন্স ডিপার্টমেন্ট। ওদিকে, বাড়িতে গিয়ে, অফিসাররা বারবার দরজায় বেল বাজান। অনেকক্ষণ ধরে তাঁরা দরজার কড়া নাড়েন। তবে কিছুতেই বাড়ির ভিতর থেকে কেউ দরজা খুলতে চাইছিলেন না। অভিযোগ, সেই সময় প্রশান্ত রাউতের পরিবারের সকলে মিলে কার্ডবোর্ড ভর্তি করে ২ কোটি টাকার নগদ প্রতিবেশীর ছাদে ফেলায় ব্যস্ত ছিলেন। পরে সেই ছাদের ঘচনা টের পেয়ে যান তদন্তকারী অফিসাররা। কার্টুন ভর্তি নগদ গুনে দেখা যায় ২.৩ কোটি টাকা রয়েছে ৬ টি বাক্সে। সব টাকাই ছিল ৫০০ টাকার নোটে।

এদিকে, বহুক্ষণ অফিসারদের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে অফিসার রাউতের পরিবার দরজা খোলে। তাঁদের তখন তদন্ত করার অনুমতি দেন তাঁরা। বহু ব্যাঙ্কের পাশবুক, স্থায়ী সম্পত্তির হদিশ পেতে থাকেন তদন্তকারীরা। সেগুলির নথিও পান তাঁরা। ১০.৩৭ লাখ টাকা শুধু বইয়ের আলমারির পিছন থেকেই উদ্ধার হয়েছে। দুটি বাড়ি থেকে মোট ৩.০২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এর আগে, ২০১৮ সালে ১ লাখ টাকার ঘুষ নিতে গিয়ে ধরাও পড়েছিলেন রাউত।