App bike in WB: বৈধ অ্যাপ বাইকে উঠছেন তো? বোঝা যাবে সহজেই! নয়া নিয়ম রাজ্যের

রাজ্য পরিবহণ দফতর নিয়ম করেছে বাইক ট্যাক্সি থাকলেই বাণিজ্যিক নম্বর প্লেট লাগাতে হবে। এই মুহূর্তে রাজ্যে বহু সংখ্যক বাইক বাণিজ্যিক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু অধিকাংশ বাইকের ক্ষেত্রেই বাণিজ্যিক নম্বর প্লেট নেই। ফলে ব্যক্তিগত নম্বর প্লেটেই চলছে এই সমস্ত বাইক। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছএ, অনেক ক্ষেত্রেই বাইক কেনার ঋণ প্রদানকারী সংস্থা ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ না দেওয়ায় নম্বর প্লেট বদলাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন মালিকরা। সেক্ষেত্রে নম্বর বদলানোর কারণেই এই সমস্যা হচ্ছিল। এই অবস্থায় এই পদ্ধতিকে আর সরল করতে নম্বর একই রেখে শুধুমাত্র প্লেটের রং পরিবর্তন করে হলুদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।

আরও পড়ুন: অ্যাপ নির্ভর বাইক ট্যাক্সিদের জন্য কড়া নিয়ন্ত্রণ বিধি আনছে পরিবহণ দফতর

সাধারণত ব্যক্তিগত নম্বর প্লেটের রং সাদা হয়ে থাকে এবং বাণিজ্যিক নম্বর প্লেটের ক্ষেত্রে সেই রং বদলে হলুদ হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তিগত বাইককে বাণিজ্যিক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করতে গেলে সেক্ষেত্রে ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কাছ থেকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ নিতে হয়। 

কিন্তু তাতেই দীর্ঘ সময় লেগে যেত। কোনও বাইককে ব্যক্তিগত থেকে বাণিজ্যিক করতে গেলে রেজিস্ট্রেশন নম্বর বদলে যেত। রেজিস্ট্রেশন নম্বর বদলালে ঋণ প্রদানকারী সংস্থার টাকা পেতে অসুবিধা হতে পারে। সেই কারণে তারা ‘নো অবজেকশন ’সার্টিফিকেট’ দিতে গড়িমসি করত। এরপরে একাধিক ঋণ প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্য পরিবহণ দফতর। তারপরে নম্বর এক রেখে শুধুমাত্র প্লেটের র বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে প্রতি বছর কর দেওয়ার ভয়ে অনেকেই বাইক ট্যাক্সিকে বাণিজ্যিকীকরণের প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে, বাইক ট্যাক্সিকে বাণিজ্যিকীকরণের জন্য জেলায়-জেলায় শিবির করছে রাজ্য সরকার। সেখানে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছে পরিবহণ দফতর। ইতিমধ্যেই একাধিক অ্যাপ বাইক সংস্থা রাজ্য সরকারের কাছে সেই তালিকা পাঠিয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ৩০ হাজার বাইক অ্যাপ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বাইক মালিকদের বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই। তবে পরিবহণ দফতরের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাইকের নম্বর প্লেট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জটিলতা কাটবে। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, সাধারণত যতদিন না ঋণ শোধ হয় ততদিন ঋণ প্রদানকারী সংস্থার অধীনে থাকে বাইক। সে ক্ষেত্রে সমস্যা হয় না। কিন্তু ঋণ শোধ হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে ছাড়পত্র প্রয়োজন। এই সিদ্ধান্তের ফলে জটিলতা কাটবে বলে মনে করছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।