Calcutta High Court: ১১ বছর স্কুলে গরহাজির শিক্ষিকা! অবিলম্বে পদত্যাগের নির্দেশ আদালতের, বোর্ডকেও ধমক

১১ বছর ধরে স্কুলে যাননি শিক্ষিকা। তাঁকে অবিলম্বের চাকরি ছাড়তে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এতদিন কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য বোর্ডকেও কড়া ভাষায় ধমক দিয়েছে আদালত।

(পড়তে পারেন। Bengal Panchayat Election 2023: আপাতত নয় CBI তদন্ত, মনোনয়ন বিকৃতির অভিযোগের তদন্ত করবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি) 

ওই শিক্ষিকা ঘোষপুর শ্রীনেহেরু হাইস্কুলে পড়াতেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের পর শিক্ষিকা আচমকাই স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলায়ও হয়। সেই মামলায় আদালত অবিলম্বে শিক্ষিকাকে স্কুলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু তা সত্বে স্কুলে যাননি ওই শিক্ষিকা।

এর পর তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়। স্কুল ও বোর্ড সভাপতি যৌথ ভাবে এই মামলা করেন। সেই ২০২২ সালে মামলায় আদালত শিক্ষিকাকে স্কুল ছাড়তে নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারপর স্কুল ছাড়েনি শিক্ষিকা।

সোমাবার মামলাটির ফের শুনানি হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। সব শুনে বিচারপতি নির্দেশ দেন অবিলম্বে স্কুল ছাড়তে হবে শিক্ষিকাকে। একই সঙ্গে হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে বোর্ড। বিচারপতি মান্থা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘এক জন শিক্ষিকা ১১ বছর ধরে স্কুলে আসছেন না। অথচ তাঁকে পদত্যাগ করতে বলারও ক্ষমতা নেই বোর্ডের!’

আদালতের পর্যবেক্ষণ, এক্ষেত্রে বোর্ড এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ দু’জনেই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছেন। এতদিন ধরে স্কুলে কোনও শিক্ষিকা নেই। ওই শিক্ষিকার জায়গায় অন্য কাউকে দেওয়া যেত। বোর্ড আর স্কুল কর্তৃপক্ষ দু’জনেই আইন নিয়ে খেলতে গিয়ে আসল কাজটিই করেনি। এ ক্ষেত্রে দু’জনেই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছেন।

শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। এর পর বিচারপতি বোর্ড সভাপতিকে জিজ্ঞাসা করেন,’ শিক্ষিকা কি আপনার কাছের লোক নাকি?’ শুনানি চলাকালীন এজলাসের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও বোর্ড সভাপতি পরস্পরকে দুষতে থাকেন।

বিচারপতি বলেন, এই সব জটিলতার মধ্যে ক্ষতি হল পড়ুয়াদের। তারা এতদিন নতুন শিক্ষক পেল না। বোর্ড সভাপতির আচারণ আমলাদের মতো বলে তিরস্কার করেন বিচারপতি মান্থা। অবিলম্বের তিনি শিক্ষিকাকে স্কুল ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।