Fake ration card: রাজ্যে প্রায় ২ কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল! কাদের এরকম হল? আপনার কি হবে?

ভুয়ো রেশন কার্ড নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। গত কয়েক বছর ধরে ভুয়ো রেশন কার্ড চিহ্নিত করছে সরকার। তাতে প্রায় দু’কোটি ভুয়ো রেশন চিহ্নিত করা গিয়েছে। এরফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর অঙ্কের অর্থ সাশ্রয় হতে চলেছে রাজ্যের। সবমিলিয়ে এই সমস্ত ভুয়ো রেশন কার্ডের ফলে বছরে রাজ্যের প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর। মূলত আধার কার্ড যোগ হওয়ার পরে ভুয়ো রেশন কার্ড শনাক্তকরণ সহজ হয়েছে।

আরও পড়ুন:সাবধান! রেশন কার্ডে এই তথ্যগুলি ভুল থাকলে ৫ বছরের জেল হতে পারে

রাজ্যে নিখরচায় রেশন ব্যবস্থা চালু রয়েছে বহুদিন ধরে। বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ১০ কোটি ৭০ লক্ষ রেশন কার্ড রয়েছে। ফলে প্রতি বছর বিপুল অঙ্কের টাকা এই বাবদ ব্যয় হয়ে থাকে রাজ্যের। মৃত ব্যক্তির নামে রেশন কার্ড বা একই ব্যক্তির নামে একাধিক রেশন কার্ড থাকার অভিযোগ রয়েছে ভুরি -ভুরি। আধার সংযোগ প্রক্রিয়ায় পরে এই সমস্ত ভুয়ো রেশন কার্ড চিহ্নিত করতে তৎপর হয় রাজ্য সরকার। সেই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দেখা যায় রাজ্যে ৮ কোটি ৭৮ লক্ষ সঠিক রেশন কার্ড রয়েছে। বাকি রেশন কার্ড নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে পারলে নিষ্ক্রিয় হওয়া রেশন কার্ড পুনরায় সক্রিয় করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।

সাধারণত একজন রেশন কার্ড গ্রাহক পিছু প্রতি মাসে পাঁচ কিলোগ্রাম করে খাদ্যশস্য বরাদ্দ থাকে। সেই হিসেবে একজন গ্রাহক পিছু প্রতি মাসে সরকারের খরচ প্রায় ১৫০ টাকা। সেই হিসেবে ২ কোটি কার্ড পিছু প্রতি মাসে রাজ্যের খরচ ৩০০ টাকা এবং বছরে তা ৩,৬০০ কোটি টাকা। ফলে ভুয়ো রেশন কার্ড শনাক্ত হওয়ায় বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হতে চলেছে রাজ্যের।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কেন্দ্র সরকার বিপুল পরিমাণে অর্থ খাদ্যশস্য বাবদ বরাদ্দ করে থাকে। এ রাজ্যের প্রায় ৬ কোটি গ্রাহক কেন্দ্রের আওতায় রয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের বক্তব্য, কেন্দ্রের প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে আধার সংযোগ করতে হতো। তাছাড়া রেশন কার্ড রুখতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু রয়েছে। প্রতিটি রেশন গ্রাহকের বায়োমেট্রিক যাচাই করে তবে রেশন দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, এখন শুধুমাত্র আঙুলের ছাপ যাচাই করার পদ্ধতি থাকলেও আগামী দিনে চোখের মনিও যাচাই করার পদ্ধতি চালু করার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য। এর ফলে আরও ভুয়ো রেশন কার্ড থাকলে তা সহজেই চিহ্নিত করা যাবে।