Justice Mukta Gupta: অবসরের আগেই ৬৫টি রায় দিলেন বিচারপতি মুক্তা গুপ্তা, নজির তৈরি হল দিল্লি হাইকোর্টে

কার্যত নজির তৈরি করলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মুক্তা গুপ্তা। অবসর নেওয়ার ঠিক আগের দিন সোমবার একেবারে ৬৫টি রায়দান করলেন বিচারপতি মুক্তা গুপ্তা। প্রায় ১৪ বছরের কেরিয়ারে এই ঘটনা কার্যত তাৎপর্যপূর্ণ। খবর বার অ্য়ান্ড বেঞ্চ সূত্রে।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দেশের বিচারব্যবস্থায় বেশ কড়া ধাতের বিচারপতি বলেই পরিচিত তিনি। কালোকে কালো বলেন, সাদাকে সাদা। তবে এদিন একাধিক সংবেদনশীল বিষয়ে তিনি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ রায় দেন।

একাধিক উল্লেখযোগ্য রায় দেন তিনি। এক বন্দির মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশকে তিনি লঘু করে দেন। দিল্লি হাইকোর্টের অত্যন্ত সিনিয়র মোস্ট ষষ্ঠ বিচারপতি হিসাবে তিনি অবসর নিতে চলেছেন। দিল্লি হাইকোর্টের দশজন সিনিয়র মোস্ট বিচারপতির মধ্য়ে তিনি অন্যতম।

বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে ২০০৯ সালের ২৩ অক্টোবর দিল্লি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে তিনি নিয়োজিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ২৯ মে স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে তিনি নিয়োজিত হয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘ কেরিয়ার তাঁর।

১৯৬১ সালের ২৮ জুন জন্ম হয়েছিল তাঁর। দিল্লির মন্টফোর্ট স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। তাঁর লাইফ সায়েন্সে অনার্স ছিল। হিন্দু কলেজে জুলজিতে অনার্স ছিল তাঁর। ১৯৮৩ সালে দিল্লির ল সেন্টারে আইনের ডিগ্রি পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে দিল্লির বার কাউন্সিল অফ দিল্লির অ্য়াডভোকেট হিসাবে তাঁর এনরোলমেন্ট হয়েছিল।

 

গোটা কেরিয়ার জুড়ে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। আইনজীবী হিসাবে তিনি সিভিল থেকে ক্রিমিনাল একাধিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে রায় দিয়েছেন। তাঁর একাধিক রায় নিয়ে চর্চাও চলেছে পুরোদমে।

সংসদ ও লালকেল্লায় গুলি চালানোর মামলা তিনি শুনেছিলেন। জেসিকা লাল মার্ডার কেস, নয়না সাহানি মার্ডার কেস, নীতীশ কাটরা খুনের মামলায় বিচারপতি হিসাবে তিনি অংশ নিয়েছিলেন।

তিনি দিল্লি লিগাল সার্ভিস অথরিটির মেম্বার ছিলেন। সেখানে তিনি পরিত্যক্ত অসহায় মহিলা, শিশুদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতেন। এই মাসের প্রথম দিকে তাঁর ফেয়ারওয়েল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে অনেকের চোখেই জল এসে যায়।