কাউন্টারে যাওয়ার দরকার নেই, এবার নিজেই লাগেজ ড্রপ করতে পারবেন এয়ারপোর্টে

দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক (IGI) বিমানবন্দরের যাত্রীদের জন্য সুখবর। এবার থেকে বিমানবন্দরে এয়ারলাইন কাউন্টারের কাছে না গিয়েই ব্যাগেজ ডিক্লেয়ার এবং লোড করতে পারবেন।

সোমবার দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (DIAL) – IGI-তে বিমানবন্দর অপারেটর – টার্মিনাল 3(T3)-তে একটি সেলফ-ব্যাগেজ ড্রপ(SBD) ফেসিলিটি চালু করার ঘোষণা করে। বিমানবন্দরের কর্তারা বলেন, এই পদক্ষেপের কারণে যাত্রীদের প্রায় ১৫-২০ মিনিট সময় বাঁচবে।

বোর্ডিং পাস এবং ব্যাগেজ ট্যাগ থাকা যাত্রীরা SBD মেশিনে গিয়েই নিজের লাগেজ ডিক্লেয়ার করতে পারবেন। নির্দিষ্ট বেল্টে নিজেরাই লোড করে দিতে পারবেন। এয়ারলাইন কাউন্টারের কাছে আর এই জন্য যেতে হবে না।

দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড-এর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আপাতত শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের জন্যই এই ফেসিলিটি চালু করা হয়েছে। শুধুমাত্র ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের যাত্রীরাই এই সুবিধা পাবেন। তবে শীঘ্রই আরও এয়ারলাইন্স এবং আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীরাও এই সুবিধাটি পেতে চলেছেন।

‘এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্তারা, এয়ার ফ্রান্স, কেএলএম রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইনস এবং ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ সহ অন্যান্য পাঁচটি এয়ারলাইন্স, শীঘ্রই তাদের যাত্রীদের জন্য সেলফ-ব্যাগেজ ড্রপ ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করবে। সেলফ-ব্যাগেজ ড্রপ ফেসিলিটির জন্য T3-র চেক-ইন সারি P-তে পাবেন,’ জানালেন এক DIAL মুখপাত্র। আপাতত এটি অনুমোদন সাপেক্ষ।

পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করে, DIAL মুখপাত্র জানিয়েছেন, যাত্রীদের প্রথমে টার্মিনালের প্রবেশদ্বারে সেলফ-চেক-ইন কিয়স্কে বোর্ডিং পাস এবং লাগেজ ট্যাগ তৈরি করাতে হবে। ‘তাদের চেক-ইন ব্যাগেজ ট্যাগ করার পরে এবং বোর্ডিং পাস স্ক্যান করার পরে, যাত্রীরা SBD ফেসিলিটির নির্ধারিত বেল্টে তাঁদের লাগেজ লোড করতে পারবেন। লাগেজ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নির্দিষ্ট স্থানে ট্রান্সফার হয়ে যাবে এবং পরে বিমানেও পৌঁছে যাবে। বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র বলেন, যাত্রীদের এই ফেসিলিটি ব্যবহার করার জন্য আলাদাভাবে কোনও রেজিস্ট্রেশনও করতে হবে না।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এক-একটি এসবিডি মেশিন মিনিটে তিনজন যাত্রীর লাগেজ বহন করতে পারবে। বর্তমানে ১৪টি SBD মেশিন ইনস্টল করা হয়েছে। তার মধ্যে ১২টি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং অন্য দু’টি হাইব্রিড মেশিন রয়েছে। এর জন্য ম্যানুয়াল সহায়তাও প্রদান করা হবে। এই মেশিনে প্রাথমিকভাবে ১২০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

DIAL-এর সিইও বিদেহ কুমার জয়পুরিয়ার বলেন, ‘এই ফেসিলিটির মূল লক্ষ্য হল যাত্রীদের স্বনির্ভর করে তোলা। একইসঙ্গে লাগেজ প্রসেসিংয়ের সময়ও কমিয়ে আনা হবে।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup