Presidency University: প্রকাশ্যে ধূমপান, চুমু খেতে দিতে হবে, পালটা দাবি প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রেম করা নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি করা এই ফতোয়া নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রেমিক প্রেমিকাদের ধরপাকড় চলছে। এমনকী ধরা পড়লে পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরও জানানো হচ্ছে। পড়ুয়াদের জোর করে কাউন্সেলিং করানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয় জারি করা এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে এবার পালটা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জন্য নির্দেশাবলী জারি করলেন পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্সি ক্যাম্পাসে প্রেম নয়! ফরমান ঘিরে সরব প্রাক্তনী সৃজিত, ‘কলেজে করবে না তো কী..’

পড়ুয়াদের জারি করা নির্দেশাবলী অনুযায়ী, এখন থেকে কোনও নির্দেশিকা জারি করার আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। পড়ুয়াদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে এমন কোনও কমিটি গঠন করা যাবে না। মিটিং, মিছিলের অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না। যৌন হেনস্থায় কেউ অভিযুক্ত থাকলে তাকে আড়াল করা যাবে না। পড়ুয়াদের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কোনও রাজনৈতিক অপরাধীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের নাম উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশাবলীতে।

এছাড়া, ক্যাম্পাস ভিতরে কারও অডিয়ো বা ভিডিয়ো রেকর্ড করতে গেলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। শৃঙ্খলার নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না। ছাত্রদের আরও দাবি, প্রকাশ্যে ধূমপান, চুমু খাওয়া কিংবা ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ানোর অধিকার দিতে হবে। ছাত্রদের মতে এগুলি আইনের চোখে অপরাধ নয়।

এদিকে, প্রেম করায় আপত্তির বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, এটা মোটেও সত্যি নয়। ক্যাম্পাসে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যা একেবারে ব্যক্তিগত। সেই কারণে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সতর্ক করার জন্য জানানো হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে কিছু পড়ুয়াকে ক্যাম্পাসে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপত্তি তুলেছে।শুক্রবার এই অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছিল চাপা উত্তেজনা। একাধিক ছাত্র সংগঠনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্সের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এইভাবে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে আগামিতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবার কথা জানানো হয়েছে।

এসএফআই নেতা শুভজিৎ সরকার বলেন, ‘প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মিটিং, মিছিল, আন্দোলন দেখেই অভ্যস্ত। এটাই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য। ২০০ বছরের প্রেসিডেন্সির মুক্ত পরিবেশকে এ ভাবে বদ্ধ করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।’