ED Summoned Saayoni Ghosh: ‘ডাকলে হবে না,ভেতরে ঢোকাতে হবে…’ দাবি শুভেন্দুর, খুঁটি পুজোতেও দেখা নেই সায়নীর

এবার ইডির নজরে সায়নী ঘোষ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলকে জেতাতে রীতিমতো আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছিলেন। সভাগুলি থেকে একেবারে কড়া আক্রমণ করছিলেন তিনি। তার মধ্য়ে এসে গেল ইডির চিঠি। শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকালে এই খবর জানাজানি হতেই একেবারে হইচই পড়ে যায়। আর তারপরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রশ্ন উঠতে থাকে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী গেলেন কোথায়?

এনিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। তবে তার মধ্যে খবর আসে বেলেঘাটার একটি খুঁটি পুজোতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি যাননি। একাধিক অভিনেত্রী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু দেখা যায়নি সায়নীকে। এনিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে।

তবে এসবের মধ্য়ে বাংলা জুড়ে ঘুরে ফিরে আসছে সেই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত যুব তৃণমূলের বর্তমানে বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষের প্রসঙ্গ। অতীতে একাধিক ফ্রেমে কুন্তল ও সায়নীতে একসঙ্গে দেখা যেত। কুন্তল বর্তমানে গরাদের আড়ালে। আর সায়নীকে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, কুন্তলের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও অবৈধ লেনদেন সায়নীর হয়েছিল কি না সেটাই জানার চেষ্টা করতে পারে ইডি। এমনকী একটা ফ্ল্যাটের প্রসঙ্গ নিয়েও নানা চর্চা চলছে।

এদিকে সূত্রের খবর, ১০ বছরের আয়কর রিটার্ন, সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি তার কাছে চাওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি চাওয়া হয়েছে।

তবে গোটা ঘটনা নিয়ে রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ভাইপোর সাগরেদ কুন্তল। এই ভদ্রমহিলাকে বিরাট হার দিয়েছে, গাড়ি দিয়েছে, চুরির উচ্ছিষ্টের ভাগ পেয়েছেন। ইডির শুধু ডাকলে হবে না। ইডিকে এদেরকে ভেতরে ঢোকাতে হবে। গাড়ি, ফ্ল্যাট অকশন করে সরকারের খাতে জমা করাতে হবে।

গত ২১ জানুয়ারি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। হুগলির যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক। এরকম গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি কীভাবে এই টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এদিকে দলের নানা অনুষ্ঠানে সায়নীর সঙ্গে কুন্তলের ছবি একেবারে নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ঝড়ের মতো। অনেকেই তারপর থেকে একে একে দুই করার চেষ্টা করেন। তবে সেসব মানতে চাননি সায়নী নিজেই।

এদিকে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এককাঠি এগিয়ে দাবি করেছিলেন, সায়নী–কুন্তলের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। এই দাবি করার সঙ্গে সঙ্গেই পালটা সৌমিত্রকে আইনি নোটিশ পাঠালেন সায়নী ঘোষ। তিনি টুইট করে লিখেছিলেন , ‘‌আমি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ শেয়ার করলাম। গত ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রকাশ্যেই একটি মন্তব্য করেছিলেন। সেই মন্তব্যের জেরেই এই নোটিশ। তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।’‌

এবার সায়নীকেই নোটিশ পাঠাল ইডি।