Hijab during Surgery: ‘অপারেশন করার সময় হিজাব কীভাবে পরব? বিকল্প ব্যবস্থা করুন,’ চিঠি ডাক্তারি ছাত্রীদের

ডাক্তারি ছাত্রীরা যখন অপারেশন করবেন তখন তাঁরা কীভাবে হিজাব পরে থাকবেন? এনিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। তবে এবার কেরলের মেডিকেল ছাত্রীরা তা নিয়েই প্রিন্সিপালকে চিঠি দিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন হিজাব পরার নিয়ম আর সার্জিকাল ডিউটির মধ্য়ে যাতে একটা ভারসাম্য থাকে তার একটা উপায় আমাদের জানিয়ে দিন।

এদিকে এর আগে কর্ণাটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এরপর এনিয়ে তীব্র জনমত তৈরি হয়। কার্যত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় গোটা রাজ্য। নানা মত উঠে আসতে থাকে। তবে এবার কেরলে ডাক্তারি ছাত্রীরা দাবি তুললেন অপারেশন থিয়েটারের নিয়ম আর ধর্মীয় প্রথার মধ্য়ে একটা সামঞ্জস্য যাতে রক্ষা করা যায় সেটা দেখা দরকার। সেকারণে তাঁরা বিশেষ ধরণের পোশাক ব্যবহারের দাবি তারা তুলেছেন।

তারা চিঠিতে লিখেছেন, সমস্ত পরিস্থিতিতে মুসলিম নারীদের হিজাব পরার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন অপারেশন করার সময় তাঁরা হিজাব পরবেন কীভাবে?

গোটা দেশ জুড়েই হিজাব পরা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা নিয়ে নানা বিতর্ক। তার মধ্য়েই চিঠি দিলেন মেডিকেল ছাত্রীরা। তাঁদের প্রশ্ন দুটি বিষয়ের সঙ্গে ভারসাম্য কীভাবে বজায় রাখা যাবে?

তাঁরা সকলেই থিরুবনন্তপুরমের একটি মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেন। এনডিটিভির খবর অনুসারে তাঁরা চিঠিতে লিখেছেন, হাসপাতাল ও অপারেশন রুমের নিয়ম কানুনকে মেনে চলা ও ধর্মীয় প্রথা মেনে হিজাব পরা দুটির মধ্য়ে ভারসাম্য রক্ষা করার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ছাত্রীরা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, লং স্লিভ স্ক্রাব জ্যাকেট ও সার্জিকাল হুড দেওয়া যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন অপারেশন রুমের নিয়ম কানুন মানা যাবে। আবার হিজাব পরার নিয়মও মানা যাবে। এগুলি যাতে অপারেশন করার সময় পরা যায় তার অনুমতি তারা চেয়েছেন প্রিন্সিপালের কাছে। তবে প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন তিনি এনিয়ে একলা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এনিয়ে একটা সমাধান সূত্র পাওয়া যাবে বলে তাঁর আশা।

এদিকে এনিয়ে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলেছেন কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রীরা যে দাবি করেছেন তা খতিয়ে দেখার জন্য় একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তবে এখনই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। অপারেশন থিয়েটারে আন্তর্জাতিক কিছু বিধি রয়েছে। সেটাই মেনে চলা হয়। এখানে রোগীদের সুরক্ষা সবার আগে।