Uniform civil code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, মোদীর তৎপরতা, সমর্থন করছে আপ, গভীর রাতে তড়িঘড়ি মিটিংয়ে মুসলিম ল বোর্ড

ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে এবার তোলপাড় দেশজুড়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার ভূপালের সভা থেকে বলেছিলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির নাম করে ভারতের মুসলিম ভাই বোনকে এটা বুঝতে হবে যে কোন রাজনৈতিক দল তাদের ভুল বুঝিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। আমরা দেখছি ইউসিসির নাম করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আচ্ছা বলুন তো পরিবারের এক সদস্যের জন্য একটি আইন আবার পরিবারের অপর সদস্যের জন্য় অপর আইন। এভাবে কি ঘর চলতে পারে! এই ব্যবস্থায় কীভাবে দেশ চলবে? সংবিধানে ভারতের নাগরিকদের জন্য সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। ওরা আমাদের উপর অভিযোগ করে কিন্তু সত্য়িটা হল এরা মুসলিম মুসলিম করে। কিন্তু মুসলিম ভাইবোন যাতে শিক্ষা, কর্মসংস্থানে পিছিয়ে না পড়ে তার ব্যবস্থা করে না। সুপ্রিম কোর্ট বার বার বলছে কমন কোড নিয়ে এস।

এদিকে মোদীর এই বক্তব্যের পরেই অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড জরুরী ভিত্তিতে মিটিংয়ে বসে পড়ে। গভীর রাতে মিটিং শুরু করে দেন তারা। দীর্ঘ আলোচনা চলে তাঁদের মধ্যে। পরে তাঁরা জানিয়েছেন, একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি খসড়া তৈরি করা হবে। সেখানে শারিয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা থাকবে। কেন এটা প্রয়োজন সেটা বলা হবে। ল কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে এই খসড়াটা জমা দেওয়ার জন্য সময় চাওয়া হবে।

 

তবে প্রধানমন্ত্রী অবশ্য মোক্ষম প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। দুটি আইনে কীভাবে দেশ চালানো সম্ভব?

তবে আপ নেতৃত্ব অবশ্য অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা পরিষ্কার জানিয়েছেন,নীতিগতভাবে আমরা ইউসিসির পাশে রয়েছি। কিন্তু এটা আরও বিস্তৃতভাবে সকলের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আপ নেতা সন্দীপ পাঠক জানিয়েছেন, নীতিগতভাবে আমরা ইউসিসিকে সমর্থন করছি। আমরা বলতে চাই বিবেচনার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে এগোতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দল, অরাজনৈতিক সংগঠন, সাধারণ মানুষ সকলের সঙ্গে আলোচনা করে এগোতে হবে। আমরা নীতিগতভাবে ইউসিসির পক্ষে রয়েছি। দলগতভাবে, নীতিগতভাবে এটা আমাদের সিদ্ধান্ত। তবে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।

এদিকে নানা ক্ষেত্রে আপের সঙ্গে বিজেপির নীতিগত ফারাক রয়েছে। রাজনৈতিক শত্রুতাও রয়েছে। তবে তার মধ্যেই এবার ইউসিসি ইস্যুতে বিজেপির পাশে দাঁড়াচ্ছে আপ। এককথায় তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত।